মুরগির খাদ্যে প্রোটিন, শর্করা এবং ভিটামিনের সঠিক অনুপাত তার বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক অনুপাত মুরগির স্বাস্থ্য এবং উৎপাদনক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক। মুরগির খাদ্যের প্রোটিন, শর্করা এবং ভিটামিনের প্রয়োজনীয়তা বয়স, ধরণ (ডিম উৎপাদনকারী বা মাংস উৎপাদনকারী), এবং অন্যান্য শারীরিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে। তবে, সাধারণভাবে একটি সুষম খাদ্য পরিসরের জন্য নিম্নলিখিত অনুপাত অনুসরণ করা হয়:
-
প্রোটিন:
-
প্রোটিন মুরগির পেশী গঠন এবং ডিম উৎপাদনে সহায়ক।
-
ডিম উৎপাদনকারী মুরগির জন্য: সাধারণত খাদ্যে ১৪-২০% প্রোটিন থাকা উচিত।
-
মাংস উৎপাদনকারী মুরগির জন্য: এই ধরনের মুরগির জন্য খাদ্যে ২০-২৪% প্রোটিন থাকা উচিত, যাতে দ্রুত বৃদ্ধি সম্ভব হয়।
-
চালিত মুরগির জন্য: কম বয়সে ২২-২৪% প্রোটিন, এবং বৃদ্ধ বয়সে ১৮-২০% প্রোটিন প্রয়োজন।
-
শর্করা:
-
শর্করা শক্তির প্রধান উৎস, যা মুরগির দৈনন্দিন কার্যক্রম এবং বৃদ্ধি বজায় রাখতে সাহায্য করে।
-
সাধারণভাবে, মুরগির খাদ্যের মধ্যে ৫৫-৬৫% শর্করা থাকতে হবে। শর্করা প্রধানত চাল, ভুট্টা, গম ইত্যাদি শস্য থেকে আসে।
-
ভিটামিন:
-
ভিটামিন মুরগির জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি তাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা এবং সঠিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করে।
-
প্রধান ভিটামিনগুলো হল: ভিটামিন A, ভিটামিন D, ভিটামিন E, এবং ভিটামিন B কমপ্লেক্স।
-
সাধারণভাবে, খাদ্যে ভিটামিনের পরিমাণ নির্দিষ্ট হওয়া উচিত যাতে মুরগি দৈনিক তাদের প্রয়োজনীয় ভিটামিনগুলো পায়। ভিটামিন D মুরগির হাড়ের স্বাস্থ্য এবং ডিম উৎপাদন নিশ্চিত করতে সহায়ক, আর ভিটামিন A এবং E ত্বক এবং চোখের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
এছাড়া, খাদ্যে খনিজ উপাদান (Minerals) যেমন ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, সোডিয়াম, এবং পটাসিয়ামও থাকা উচিত, যা মুরগির স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য।
তবে, বিভিন্ন বয়স এবং অবস্থার জন্য খাদ্যের উপাদান পরিবর্তন হতে পারে, এবং সঠিক খাদ্য পরিকল্পনা মুরগির প্রকারভেদ অনুযায়ী ঠিক করা উচিত।