হুন্ডের নীতি হলো পারমাণবিক পদার্থবিজ্ঞানের একটি নীতি যা বহু-ইলেকট্রন পরমাণুর সর্বনিম্ন শক্তি অবস্থার ইলেকট্রন বিন্যাস নির্ধারণ করে। এই নীতিটি জার্মান পদার্থবিদ ফ্রেডরিখ হুন্ড ১৯২৭ সালে প্রস্তাব করেছিলেন।
হুন্ডের নীতিটি তিনটি ভাগে বিভক্ত:
-
প্রথম নীতি: একটি উপশক্তিস্তরে, প্রতিটি কক্ষপথ এককভাবে ভর্তি হওয়ার আগে দ্বিগুণভাবে ভর্তি হয় না।
-
দ্বিতীয় নীতি: একই উপশক্তিস্তরের সমস্ত কক্ষপথের মধ্যে, স্পিন কোয়ান্টাম সংখ্যার মান 1/2 হলে একই স্পিন দ্বারা সমস্ত কক্ষপথ দখল করা হয়।
-
তৃতীয় নীতি: একই উপশক্তিস্তরের সমস্ত কক্ষপথের মধ্যে, স্পিন কোয়ান্টাম সংখ্যার মান -1/2 হলে একই স্পিন দ্বারা সমস্ত কক্ষপথ দখল করা হয়।
হুন্ডের নীতির প্রথম নীতিটি পাউলি বর্জন নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। পাউলি বর্জন নীতি অনুসারে, একই সিস্টেমের মধ্যে দুটি ইলেকট্রন একই কোয়ান্টাম সংখ্যার সেট ভাগ করতে পারে না।
হুন্ডের নীতির দ্বিতীয় নীতিটি ইলেকট্রনের স্পিন শক্তির সাথে সম্পর্কিত। ইলেকট্রনের স্পিন কোয়ান্টাম সংখ্যার দুটি সম্ভাব্য মান রয়েছে,1/2 এবং -1/2। ইলেকট্রনের স্পিন শক্তি কম হলে, স্পিন কোয়ান্টাম সংখ্যার মান 1/2 সহ ইলেকট্রনগুলির অধিক শক্তি থাকে।
হুন্ডের নীতির তৃতীয় নীতিটি ইলেকট্রনের স্পিন শক্তির সাথেও সম্পর্কিত। ইলেকট্রনের স্পিন কোয়ান্টাম সংখ্যার দুটি সম্ভাব্য মান রয়েছে, 1/2 এবং -1/2। ইলেকট্রনের স্পিন শক্তি বেশি হলে, স্পিন কোয়ান্টাম সংখ্যার মান -1/2 সহ ইলেকট্রনগুলির অধিক শক্তি থাকে।
হুন্ডের নীতিটি রসায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই নীতিটি ব্যবহার করে, রসায়নবিদরা বিভিন্ন উপাদানের ইলেকট্রন বিন্যাস এবং বৈশিষ্ট্যগুলি ব্যাখ্যা করতে পারেন।