213 বার দেখা হয়েছে
"ফতোয়া" বিভাগে করেছেন

2 উত্তর

1 টি পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন
নির্বাচিত করেছেন
 
সর্বোত্তম উত্তর

 সাধারণ নিয়মানুযায়ী ব্যভিচারীর সাজা তো এটাই হওয়া উচিত যে, তার লজ্জাস্থান কেটে ফেলা হবে। তাহলে আর বাঁশও থাকল না, বাশিও বাজল না। কিন্তু এখানে দুটি বিষয় লক্ষণীয়। 

১. যদি এরূপ করা হয় তাহলে চিরদিনের জন্য মানুষের বংশবিস্তার বন্ধ হয়ে যাবে।
২. এ সাজা সর্বসাধারণের দৃষ্টিগোচর হবে না। ফলে তারা শিক্ষা নিতে পারবে না। 

এ জন্য শরীয়ত ব্যভিচারের শাস্তি নির্ধারণ করেছে বেত্রাঘাত। ইরশাদ হচ্ছে : 
الزانية والزاني فاجلدوا كل واحد منهما مئة جلدة ولا تأخذكم
بهما رأفة في دين الله إن كنتم تؤمنون بالله واليوم الآخر 
 "ব্যভিচারী নারী-পুরুষ প্রত্যেককে এক শ বেত্রাঘাত করো এবং আল্লাহর দ্বীনের ব্যাপারে তাদের প্রতি যেন তোমাদের সামান্যতম দয়া না জাগে; যদি তোমরা আল্লাহ এবং পরকালের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করে থাকো।” সূরা সূরা নূর আয়াত - ২
  এটা স্পষ্ট যে, ব্যভিচারের স্বাদ কেবল বিশেষ অঙ্গেই অনুভূত হয় না; বরং শরীরের রন্ধ্রে রন্ধ্রে তার উন্মাদনা ও আনন্দ ছড়িয়ে যায়। আর বীর্যস্খলনের সময় তো রন্ধ্রে রন্ধ্রে তার স্বাদ অনুভূত হয়। এ কারণে বেত্রাঘাতের শাস্তিই যথোপযুক্ত হয়েছে। যাতে বাহ্যিকভাবে পুরো শরীরে যন্ত্রণা পৌঁছে যায়। মনে রাখবেন, এই সাজা অবিবাহিতদের জন্য।
 আর যদি কোনো বিবাহিত ব্যক্তি ব্যভিচারে লিপ্ত হয় এবং বিচারকের নিকট স্বীয় অপরাধের স্বীকারোক্তি দেয় বা শরয়ী সাক্ষ্য দ্বারা বিষয়টি সাব্যস্ত হয়, তাহলে তার শাস্তি হচ্ছে প্রস্তরাঘাতে প্রাণনাশ করা। 

ধাপে ধাপে শাস্তি চূড়ান্তকরণ

মদ্যপান নিষিদ্ধের বিধান ও তার শাস্তি যেমন ধাপে ধাপে চূড়ান্ত করা হয়েছে, তদ্রূপ ব্যভিচারের শাস্তিও তিনটি ধাপে বর্ণনা করা হয়েছে। যথা :

১. প্রথম ধাপে বলা হয়েছেঃ-  والذٰن يأتينها منكم فاٰذوهما

“তোমাদের মাঝে যে দুজন সমকামিতায় লিপ্ত হয় তাদের উভয়কে শাস্তি দাও।  সূরা নিসা আয়াত : ১৬ 
দুজন পুরুষের মধ্যে অপকর্ম প্রমাণিত হলে বিচারক তাদেরকে বিচারের আওতায় আনবে। অর্থাৎ তাদেরকে যথোপযোগী সাজা দেবে।

২. দ্বিতীয় ধাপে বলা হয়েছেঃ-
 الزانية والزاني فاجلدوا كل واحد منهما مئةجلدة ولاتأخذكم
بهما رأفة في دين الله إن كنتم تؤمنون بالله واليوم الآخر 

''ব্যভিচারী নারী-পুরুষ প্রত্যেককে এক শ বেত্রাঘাত করো এবং আল্লাহর দ্বীনের ব্যাপারে তাদের প্রতি যেন তোমাদের সামান্যতম দা না জাগে; যদি তোমরা আল্লাহ এবং পরকালের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করে থাকো।" 
সূরা সূরা নূর আয়াত - ২

৩. তৃতীয় ধাপে বলা হয়েছেঃ-  الرجم للثيب والجلد للبكر

“বিবাহিত নারীর শাস্তি হলো প্রস্তরাঘাতে মৃত্যু। আর অবিবাহিত নারীর সাজা হলো বেত্রাঘাত।" 
সূত্রঃ- বর্ণনাকারী আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস রাযি. সহীহ বুখারী, ৪৫৭২ নং হাদীসের পর ইবনু আব্বাস রাখি-এর মন্তব্য হিসেবে উদ্ধৃত হয়েছে।

ব্যভিচারের শাস্তি কার্যকর করার জন্য চারজন পুরুষের শর্তারোপ করা হয়েছে। যেহেতু অপরাধী দুজন, তাই দুজনের জন্য দুজন দুজন করে মোট চারজন বলা হয়েছে। নারীরা যেহেতু স্বভাবগতভাবে অপবাদ আরোপ করায় পটু, তাই এই নাযুক বিষয়ে নারীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়নি।

সেই সাথে এ কথাও স্পষ্ট যে, সাজা যেমন কঠিন তেমনই তা বাস্তবায়নের শর্তাবলিও অত্যন্ত কঠিন। প্রথমত, ইসলাম বিষয়টি যথাসম্ভব গোপন রাখার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু চারজন শরয়ী সাক্ষীর প্রত্যক্ষ সাক্ষ্যের ভিত্তিতে যখন অপরাধ সুপ্রমাণিত হয়ে যায়, তখন আবার অপরাধী নারী-পুরুষকে কঠিনতম শাস্তি প্রদানের আদেশও করেছে এবং লোকদেরকে তাদের প্রতি কোনোরূপ দয়া দেখাতে বারণ করে দিয়েছে। যাতে করে অন্যরা শিক্ষাগ্রহণ করতে পারে। সাধারণত পুরুষদের সম্বোধন করে বিধান জারি করা হয়, আর নারীদের সেই সম্বোধনের অন্তর্ভুক্ত করে দেয়া হয়। কিন্তু ব্যভিচারের শাস্তির ক্ষেত্রে পৃথকভাবে "الزانية" শব্দ উল্লেখ করে নারীদের অন্তর্ভুক্তিকে সুনিশ্চিত করা হয়েছে। যাতে কেউ মনে না করে যে, প্রস্তরাঘাতে মৃত্যুর বিধান কেবল পুরুষের জন্য; নারীর জন্য নয়। 

প্রস্তরাঘাতে প্রাণনাশ করার পদ্ধতিঃ- 

অপরাধীর অপরাধ সাব্যস্ত হয়ে যাওয়ার পর তাকে এক উন্মুক্ত মাঠে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে কাজি (বিচারক), সাক্ষী এবং মুসলমানদের একটি বড় দল উপস্থিত থাকবে। যদি অপরাধীর স্বীকারোক্তি দ্বারা অপরাধ সাব্যস্ত হয়ে থাকে তাহলে কাজি সাহেব প্রথমে পাথর নিক্ষেপ করবেন। আর যদি সাক্ষীর সাক্ষ্য দ্বারা অপরাধ সাব্যস্ত হয়ে থাকে তাহলে প্রথমে সাক্ষীরা পাথর নিক্ষেপ করবে। অতঃপর উপস্থিত সকল মুসলমান পাথর নিক্ষেপ করতে থাকবে, যতক্ষণ না সে মারা যায়। ব্যভিচারী যদি নারী হয় তাহলে এতটুকু গভীর গর্ত খুঁড়ে নিতে হবে, যাতে তার শরীরের অর্ধাংশ গর্তের ভেতর আড়াল হয়ে যায়। এরপর তাকে পাথর মেরে মেরে প্রাণনাশ করা হবে।
0 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন
ইসলামে ব্যভিচারের শাস্তি ব্যক্তিভেদে একটু ভিন্ন। ব্যভিচারী যদি বিবাহিত হয়, তাহলে তাকে প্রকাশ্যে পাথর মেরে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। আর যদি অবিবাহিত হয়, তাহলে তাকে প্রকাশ্যে একশ' ছড়ি মারা হবে। নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য একই শাস্তি।

এরকম আরও কিছু প্রশ্ন

1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
6 নভেম্বর, 2022 "ফতোয়া" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Badshah
1 টি উত্তর
18 মে, 2022 "ফতোয়া" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন ফারাবি
1 টি উত্তর
11 জুন, 2019 "ফতোয়া" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন অজ্ঞাতকুলশীল
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
14 সেপ্টেম্বর, 2023 "সংবিধান" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন M.S.C_Safwana
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
8 নভেম্বর, 2023 "পারিবারিক আইন" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Zishan
1 টি উত্তর
8 নভেম্বর, 2023 "ফৌজদারী আইন" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Zishan
1 টি উত্তর
13 সেপ্টেম্বর, 2023 "পারিবারিক আইন" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন অজ্ঞাতকুলশীল
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
11 ডিসেম্বর, 2021 "মাধ্যমিক" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Aman

34,059 টি প্রশ্ন

33,009 টি উত্তর

1,579 টি মন্তব্য

3,214 জন সদস্য

Ask Answers সাইটে আপনাকে সুস্বাগতম! এখানে আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং অন্যদের প্রশ্নে উত্তর প্রদান করতে পারবেন ৷ আর অনলাইনে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য উন্মুক্ত তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার কাজে অবদান রাখতে পারবেন ৷
27 জন অনলাইনে আছেন
0 জন সদস্য, 27 জন অতিথি
আজকে ভিজিট : 24086
গতকাল ভিজিট : 32536
সর্বমোট ভিজিট : 42917322
  1. Tuhin_Islam

    50 পয়েন্ট

    0 টি উত্তর

    0 টি গ্রশ্ন

  2. Kuddus

    5 পয়েন্ট

    1 টি উত্তর

    0 টি গ্রশ্ন

  3. Sijan855

    1 পয়েন্ট

    0 টি উত্তর

    1 টি গ্রশ্ন

এখানে প্রকাশিত সকল প্রশ্ন ও উত্তরের দায়ভার কেবল সংশ্লিষ্ট প্রশ্নকর্তা ও উত্তর দানকারীর৷ কোন প্রকার আইনি সমস্যা Ask Answers কর্তৃপক্ষ বহন করবে না৷
আজ বঙ্গাব্দ৷
...