গুগল বা গুগোল (Googol) একটি সংখ্যা নির্দেশক শব্দ। ১০১০০ সংখ্যাটিকে এক গুগল বলা হয়। অর্থাৎ এক লিখে তার পরে একশটি শূণ্য বসালে যে বৃহৎ সংখ্যাটি পাওয়া যায় তা-ই এক গুগল। গণিতে এর বিশেষ কোনো তাৎপর্য না থাকলেও অতি বৃহৎ পরিমাণ বুঝাতে এর ব্যবহার লক্ষ্যণীয়।
নির্দিষ্ট সংখ্যার জন্য এই নামের প্রথম প্রস্তাব করেছিল মার্কিন গণিতবিদ এডওয়ার্ড ক্যসনারের নয় বছর বয়সী ভাতিজা মিল্টন সিরোটা (১৯১১ – ১৯৮১)।
সিরোটা ১৯২০ সালে তার চাচার কাছে নামটি প্রস্তাব করেছিল। ক্যাসনার তার Mathematics and the Imagination (১৯৪০) নামক গ্রন্থে এই শব্দের উল্লেখ করেন। তখন থেকেই এটি জনপ্রিয়তা অর্জন করে। আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট সার্চ ইঞ্জিন গুগল (Google)-এর নামটি এই শব্দ থেকেই নেয়া হয়েছে। গুগল অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ তার স্কুল জীবন থেকেই গণিতের গুগল শব্দটি দেখে বেশ আগ্রহ বোধ করেছিলেন। স্কুল জীবনে বন্ধুরা মিলে এই নামটিকে পছন্দ করেন। কিন্তু মজার বিষয় তারা বানান ভুল করে googol-এর বদলে google লিখেন। গুগলকে এভাবে প্রকাশ করা যায়:
১ গুগোল = ১০১০০ =১০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০ ,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০ ,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০ ,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০ ,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০ ,০০,০০,০০,০০,০০০
এখন জেনে নেই গুগল কিভাবে কাজ করে :
গুগলে কিছু সার্চ করলে গুগল আপনাকে ফলাফল দেখায়, কিন্তু সেজন্য গুগলকে নিজে আগে ফলাফল বের করতে হয়। এই কাজটি করার জন্য প্রত্যেক সার্চ ইঞ্জিনের বিশেষ সফটওয়্যার রোবট রয়েছে। পুরো ওয়েবে ঘুরে বেড়ানো আর সবকিছু লিপিবদ্ধ করাটাই তাদের কাজ। সার্চ ইঞ্জিনের ভাষায় এদের “স্পাইডার” বলা হয়। গুগল মূলত এই প্রক্রিয়ায় কাজ করে।