আসলে এটি বোঝাতে গেলে বিশদ ব্যাখ্যার প্রয়োজন আছে৷ কিন্তু অতটা সময় বা ধৈর্য কোনটাই আমার এখন নেই বলে কয়েকটি কথায় বোঝানোর চেষ্টা করছি৷
মহিলাদের বয়স বৃদ্ধির সাথে ইস্ট্রোজেন হরমোন লেভেল কমতে থাকে৷ মোটামুটি ৩০ পার হলে হরমোন লেভেল কমতে শুরু করে এবং মেনোপজের পর তো একদমই ইস্ট্রোজেন তৈরি হয় না৷
আর ইস্ট্রোজেন হরমোনের সাথে মহিলাদের শরীরে ক্যালসিয়াম বাইন্ডিংয়ের একটা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে৷ ইস্ট্রোজেন হরমোন তৈরি হওয়া কমতে থাকলে নারীদের শরীরে ক্যালসিয়াম শোষণও কমতে থাকে৷ ক্যালসিয়াম শোষণ হয়না বলে হাড়ের ক্ষয়ও পূরণ হয় না, ফলে হাড় ক্ষয় শুরু হয়ে যায়৷ এভাবে চলতে চলতে বয়স ৫০ পার হলে ইস্ট্রোজেন হরমোন উৎপাদন যেমন বন্ধ হয়ে যায় তখন হাড়ের ক্ষয় পূরণও বন্ধ হয়ে যায়৷ যার ফলে দৈনন্দিন কাজ কর্মে যতটুকু হাড়ের পুষ্টি বা ক্যালসিয়াম প্রয়োজন তার ঘাটতি থেকেই যায়৷ একারনে মহিলাদের হাড় ক্ষয়ের প্রবণতা বেশি যেটা পুরুষের ক্ষেত্রে হয়না৷
প্রতিকার: মহিলাদের বয়স ৩০ বছর পার হলে ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট নেওয়া প্রয়োজন৷ এজন্য প্রতিমাসে কমপক্ষে দশটি করে ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট সেবন করা যেতে পারে৷ তবে সবার ক্ষেত্রে ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন সমান নয় বলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সেবন করতে হবে৷
আর বয়স ৫০ পার হলে অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধের জন্য হলে Salost ট্যাবলেট গ্রহণ করতে হয়৷ মাত্রা ও সেবন বিধি উল্লেখ করলাম না৷ এটা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই সেবন করতে হবে৷