214 বার দেখা হয়েছে
"কুরআন ও হাদিস" বিভাগে করেছেন

1 টি উত্তর

0 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন

সুদের ভয়াবহতা বলে শেষ করা যাবে না :


সুদ হারাম : আল্লাহ তা’য়ালা ইরশাদ করেন- আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল করেছেন এবং সুদকে হারাম করেছেন (সূরা আল বাকারা- ২৭৫)। 

সুদখোর মাতাল হয়ে হাশরে উঠবে : আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন যারা সুদ খায় তারা ঐ ব্যক্তির ন্যায় (হাশরের ময়দানে) দাঁড়াবে, যাকে শয়তান র্স্পশ করে পাগল করে দেয়। এটা এ জন্যে যে তারা বলে ক্রয়-বিক্রয় তো সুদেরই মত (সূরা আল বাকারা-২৭৫)। 

সুদ হালাল জীবিকা গ্রহণের অন্তরায় : আল্লাহ তা’য়ালা চান মু’মিনগণ হালাল জীবিকা গ্রহণ করুক। তাই আল্লাহ তা’য়ালা ইরশাদ করেছেন, হে ঈমানদারগণ! তোমরা পবিত্র বস্তু সামগ্রী থেকে আহার্য গ্রহণ কর, যেগুলো আমি তোমাদেরকে রুযী হিসেবে দান করেছি (সূরা: বাকার আয়াত: ১৭২)। অনত্র ইরশাদ করেছেন, হে রাসূলগণ! তোমরা পবিত্র বস্তু থেকে আহার্য গ্রহণ কর এবং সৎকর্ম কর (সূরা: মু’মিনুন- ৫১)। সুদ হালাল উপায়ে জীবিকা গ্রহণে বাধা সৃষ্টি করে। মানুষকে অসৎ পথে অর্থ উপার্জনে উদ্বুদ্ধ করে। 

সুদখোরের বিরুদ্ধে আল্লাহর যুদ্ধ : আল্লাহ তা’য়ালা ইরশাদ করেন- অতঃপর তোমরা যদি তা (বকেয়া সুদ) না ছাড়, তবে জেনে রেখ এটা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সঙ্গে যুদ্ধ। কিন্তু যদি তোমরা তওবা কর, তবে তোমাদের মূলধন তোমাদেরই। এতে তোমরা অত্যাচার করবে না এবং অত্যাচারিতও হবে না (সুরা আল বাকারা-২৭৯)।

সুদ খাওয়া মু’মিনের কাজ নয় : মু’মিন আদৌ সুদখোর হতে পারে না। আল্লাহ তা’য়ালা ইরশাদ করেন- হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সুদের যা বকেয়া আছে তা ছেড়ে দাও, যদি তোমরা প্রাকৃত বিশ্বাসী হয়ে থাক (সূরা আল বাকারা-২৭৮)।

সুদখোর জাহান্নামী : সুদখোর চির জাহান্নামী হবে। আল্লাহ তা’য়ালার বাণী- আর যারা পুনরায় সুদ নেয়, তারাই দোযখে যাবে। তারা সেখানে চিরকাল অবস্থান করবে (সূরা আল বাকারা-২৭৫)।

সুদের দ্বারা মূলত সম্পদ বাড়ে না : সুদ খাওয়ার দ্বারা সম্পদ বৃদ্ধি পায় না; বরং কমে। আল্লাহর বাণী- আল্লাহ সুদকে কমিয়ে দেন এবং দান-খয়রাতকে বড়িয়ে দেন। আল্লাহ কোন অকৃতজ্ঞ পাপীকে পছন্দ করেন না (সূরা আল বাকারা-২৭৬)। আরো ইরশাদ করেন- তোমরা যে সুদ দিয়ে থাক, যাতে মানুষের মালের সাথে মিশে তা বেড়ে যায়, আল্লাহর কাছে তা মোটেও বাড়ে না (সূরা রূম-৩৯)।  আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা:) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (স:) বলেন- সুদের অর্থ জমা করার পরিণাম হচ্ছে অসচ্ছলতা। অপর র্বণনায় রয়েছে সুদের অর্থ যতই অধিক হোক না কেন অবশেষে তার পরিণতি হয় অসচ্ছলতা (তারগীব ও তারহীব, ইবন মাজাহ, হাকিম)।

সুদখোর অভিশপ্ত :  আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (র) হতে বর্ণিত, নিশ্চয়ই মহা নবী (স) সুদখোর, সুদ দাতা, সুদী কারবারের সাক্ষী এবং সুদের চুক্তি লেখক সকলকে ভৎর্সনা করেছেন। 

সুদের এক টাকা ছত্রিশবার ব্যভিচারের চেয়ে মারাত্মক :  আবদুল্লাহ ইবনে হানযালা (গাসিলুল মালাইকা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন মহানবী (স) বলেছেন- কোন ব্যক্তির সুদের একটি টাকা খাওয়া তার ছত্রিশবার ব্যভিচার করা অপেক্ষাও জঘন্য অপরাধ (মুসনাদ আহমদ,মিশকাত- পৃ.২৪৫-২৪৬)।

এরকম আরও কিছু প্রশ্ন

1 টি উত্তর
4 আগস্ট, 2021 "কুরআন ও হাদিস" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Layla Aktar
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
7 সেপ্টেম্বর, 2020 "কুরআন ও হাদিস" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Shakil
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
28 মার্চ, 2021 "কুরআন ও হাদিস" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন তানহা
1 টি উত্তর
28 মার্চ, 2021 "কুরআন ও হাদিস" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন তানহা
1 টি উত্তর
16 সেপ্টেম্বর, 2020 "কুরআন ও হাদিস" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Khorshed
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
27 নভেম্বর, 2023 "কুরআন ও হাদিস" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Ashraful
1 টি উত্তর
12 ডিসেম্বর, 2022 "কুরআন ও হাদিস" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Hasanask

34,059 টি প্রশ্ন

33,009 টি উত্তর

1,579 টি মন্তব্য

3,214 জন সদস্য

Ask Answers সাইটে আপনাকে সুস্বাগতম! এখানে আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং অন্যদের প্রশ্নে উত্তর প্রদান করতে পারবেন ৷ আর অনলাইনে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য উন্মুক্ত তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার কাজে অবদান রাখতে পারবেন ৷
17 জন অনলাইনে আছেন
0 জন সদস্য, 17 জন অতিথি
আজকে ভিজিট : 23879
গতকাল ভিজিট : 22907
সর্বমোট ভিজিট : 42884618
  1. Tuhin_Islam

    50 পয়েন্ট

    0 টি উত্তর

    0 টি গ্রশ্ন

  2. Kuddus

    5 পয়েন্ট

    1 টি উত্তর

    0 টি গ্রশ্ন

  3. Sijan855

    1 পয়েন্ট

    0 টি উত্তর

    1 টি গ্রশ্ন

এখানে প্রকাশিত সকল প্রশ্ন ও উত্তরের দায়ভার কেবল সংশ্লিষ্ট প্রশ্নকর্তা ও উত্তর দানকারীর৷ কোন প্রকার আইনি সমস্যা Ask Answers কর্তৃপক্ষ বহন করবে না৷
আজ বঙ্গাব্দ৷
...