সূরা ফাতিহা পবিত্র কোরআনের প্রথম সূরা এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সূরা। এটিকে কুরআনের সারাংশ বলা হয়। সূরা ফাতিহার ফজিলত অপরিসীম। হাদিসে এর অনেক ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি নিম্নরূপ:
-
সূরা ফাতিহা নামাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রত্যেক ফরজ নামাজের প্রথমে এটি পড়া আবশ্যক। যে ব্যক্তি নামাজে সূরা ফাতিহা পড়ে না, তার নামাজ অপূর্ণাঙ্গ।
-
সূরা ফাতিহাকে "উম্মুল কোরআন" বা কোরআনের মা বলা হয়। কারণ, এটি কোরআনের মূল বিষয়বস্তুকে ধারণ করে।
-
সূরা ফাতিহাকে "ফাতিহাতুল কিতাব" বা কিতাবের উদ্বোধন বলা হয়। কারণ, এটি কোরআনের প্রথম সূরা।
-
সূরা ফাতিহাকে "সাবউল মাসানী" বা সাতবার পুনরাবৃত্তিকৃত বলা হয়। কারণ, এটি সাতবার পুনরাবৃত্তি করে পড়া হয়।
-
সূরা ফাতিহাকে "রকিয়্যাহ" বা ঝাড়ফুঁককারী বলা হয়। কারণ, এটি দিয়ে অসুস্থ ব্যক্তিকে ঝাড়ফুঁক করলে সে সুস্থ হয়ে ওঠে।
সূরা ফাতিহার আরও কিছু ফজিলত নিম্নরূপ:
-
সূরা ফাতিহা পাঠ করলে আল্লাহ তা'আলার রহমত ও বরকত লাভ হয়।
-
সূরা ফাতিহা পাঠ করলে গুনাহ মাফ হয়।
-
সূরা ফাতিহা পাঠ করলে দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যাণ লাভ হয়।
-
সূরা ফাতিহা পাঠ করলে বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
সূরা ফাতিহা পাঠের অনেক উপকারিতা রয়েছে। তাই প্রত্যেক মুসলমানের উচিত এ সূরাটি যথাযথভাবে পাঠ করা এবং এর ফজিলত লাভের চেষ্টা করা।