সূরা মাউন এর ফজিলত সম্পর্কে বিভিন্ন হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। কিছু উল্লেখযোগ্য হাদিস হল:
-
হযরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি সূরা মাউন পাঠ করবে, তাকে কিয়ামতের দিন জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হবে।” (তিরমিযি, হাদিস: ২৮৮৩)
-
হযরত ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি প্রতিদিন সূরা মাউন পাঠ করবে, তার জন্য জাহান্নামের আগুন হারাম হয়ে যাবে।” (বায়হাকি, হাদিস: ৪৫৮৬)
-
হযরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি সূরা মাউন পাঠ করবে, তার জন্য আল্লাহ তাআলা ১০০০ নেকী লিখে দেবেন এবং ১০০০ গুনাহ মাফ করে দেবেন।” (তিরমিযি, হাদিস: ২৮৮৪)
এই হাদিসগুলো থেকে বুঝা যায় যে, সূরা মাউন পাঠের ফজিলত অনেক। এটি পাঠ করলে কিয়ামতের দিন জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, জাহান্নামের আগুন হারাম হয়ে যায় এবং ১০০০ নেকী ও ১০০০ গুনাহ মাফ হয়ে যায়।
এছাড়াও, সূরা মাউন পাঠের ফলে নিম্নলিখিত ফজিলতগুলো রয়েছে বলে মনে করা হয়:
-
এটি পাঠ করলে ইমান ও তাওহিদের উপর দৃঢ়তা পাওয়া যায়।
-
এটি পাঠ করলে পরকালের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা যায়।
-
এটি পাঠ করলে মানবিক গুণাবলী ও দয়া-মায়া বৃদ্ধি পায়।
সুতরাং, সূরা মাউন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলতপূর্ণ সূরা। এটি প্রতিদিন পাঠ করা উচিত।