সূরা কাউসার এর ফজিলত
সূরা কাউসার পবিত্র কুরআনের সবচেয়ে ছোট সূরা। এর আয়াত সংখ্যা মাত্র তিনটি। এ সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।
সূরা কাউসারের ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে বর্ণিত আছে,
-
হযরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "যে ব্যক্তি সূরা কাউসার নিয়মিত পাঠ করবে, তার জন্য কেয়ামতের দিন আমি সাক্ষী হব।" (তিরমিজি)
-
হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "যে ব্যক্তি সূরা কাউসার পাঠ করবে, আল্লাহ তাকে হাউজে কাউছারের পানির একটি পানপাত্র দেবেন।" (তাবারানী)
-
হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "যে ব্যক্তি সূরা কাউসার পাঠ করবে, আল্লাহ তার শত্রুদের অনিষ্ট থেকে তাকে রক্ষা করবেন।" (তাবারানী)
সূরা কাউসারের অর্থ
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
-
১. إِنَّا أَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَ
নিশ্চয়ই আমি আপনাকে কাউছার দান করেছি।
-
২. فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانْحَرْ
অতএব (কৃতজ্ঞতা প্রকাশে) আপনার রবের জন্য নামাজ পড়ুন এবং কোরবানি করুন।
-
৩. إِنَّ شَانِئَكَ هُوَ الْأَبْتَرُ
নিশ্চয়ই আপনার প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারীই হলো- (লেজকাটা) নির্বংশ।
সূরা কাউসারের তাফসির
সূরা কাউসারের প্রথম আয়াতে আল্লাহ তায়ালা রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে কাউছার দান করার ঘোষণা দিয়েছেন। কাউছার হলো জান্নাতে একটি নহর, যার পানি দুধের চেয়ে সাদা এবং মধুর চেয়ে মিষ্টি। এই নহরের পানি পান করলে মানুষ কখনো তৃষ্ণার্ত হবে না।
দ্বিতীয় আয়াতে আল্লাহ তায়ালা রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে নামাজ পড়তে এবং কোরবানি দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। নামাজ ও কোরবানি হলো ইসলামের দুটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এই ইবাদতগুলো পালন করলে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি লাভ হয়।
তৃতীয় আয়াতে আল্লাহ তায়ালা রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর শত্রুদেরকে নির্বংশ বলে আখ্যায়িত করেছেন। এর অর্থ হলো, রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর শত্রুরা দুনিয়াতেও এবং আখেরাতেও ধ্বংস হবে।
সূরা কাউসার পাঠের নিয়ম
সূরা কাউসার যেকোনো সময় পাঠ করা যায়। তবে, ফজরের নামাজের পর পাঠ করা ভালো। এছাড়াও, জুমার দিন জুমার নামাজের পর,ঈদের দিন ঈদের নামাজের পর এবং রমজানের শেষ রাতে তাহাজ্জুদের নামাজের পর সূরা কাউসার পাঠ করার বিশেষ ফজিলত রয়েছে।