সূরা ফালাক কুরআনুল কারিমের ১১৩তম সূরা। এটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং এর আয়াত সংখ্যা ৫টি। সূরা ফালাক ও সূরা নাস একসাথে মিলে “মু'আওবিযাতানে কেবির” বা “দুটি বৃহৎ আশ্রয় প্রার্থনা” নামে পরিচিত।
সূরা ফালাক পাঠের ফজিলত সম্পর্কে বিভিন্ন হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। কিছু উল্লেখযোগ্য হাদিস হল:
-
হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যা সূরা ফালাক ও সূরা নাস পাঠ করবে,তাকে যাদু, কালো জাদু, বিষাক্ত জীবজন্তুর বিষাক্ত দংশন এবং শয়তানের অনিষ্ট থেকে আল্লাহ তাআলা রক্ষা করবেন।” (বুখারি,হাদিস: ৫০১৭)
-
হযরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি সূরা ফালাক ও সূরা নাস পাঠ করবে, তার জন্য যথেষ্ট হবে।” (বুখারি, হাদিস: ৫০০০)
এই হাদিসগুলো থেকে বুঝা যায় যে, সূরা ফালাক পাঠের ফজিলত অনেক। এটি পাঠ করলে যাদু, কালো জাদু, বিষাক্ত জীবজন্তুর বিষাক্ত দংশন এবং শয়তানের অনিষ্ট থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
এছাড়াও, সূরা ফালাক পাঠের ফলে নিম্নলিখিত ফজিলতগুলো রয়েছে বলে মনে করা হয়:
-
এটি পাঠ করলে ঈমান ও তাওহিদের উপর দৃঢ়তা পাওয়া যায়।
-
এটি পাঠ করলে পরকালের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা যায়।
-
এটি পাঠ করলে মানবিক গুণাবলী ও দয়া-মায়া বৃদ্ধি পায়।
সুতরাং, সূরা ফালাক একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলতপূর্ণ সূরা। এটি প্রতিদিন পাঠ করা উচিত।
এখানে সূরা ফালাক পাঠের কিছু নির্দিষ্ট ফজিলত সম্পর্কে আরও বিস্তারিত আলোচনা করা হল:
-
যাদু, কালো জাদু থেকে মুক্তি: সূরা ফালাক ও সূরা নাস পাঠ করলে যাদু, কালো জাদুর ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। কারণ, এই সূরাতে আল্লাহর কাছে যাদু ও কালো জাদু থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করা হয়েছে।
-
বিষাক্ত জীবজন্তুর বিষাক্ত দংশন থেকে মুক্তি: সূরা ফালাক ও সূরা নাস পাঠ করলে বিষাক্ত জীবজন্তুর বিষাক্ত দংশন থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। কারণ, এই সূরাতে আল্লাহর কাছে বিষাক্ত জীবজন্তুর বিষাক্ত দংশন থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করা হয়েছে।
-
শয়তানের অনিষ্ট থেকে মুক্তি: সূরা ফালাক ও সূরা নাস পাঠ করলে শয়তানের অনিষ্ট থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। কারণ, এই সূরাতে আল্লাহর কাছে শয়তানের অনিষ্ট থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করা হয়েছে।
-
ঈমান ও তাওহিদ বৃদ্ধি: সূরা ফালাক ও সূরা নাস পাঠ করলে ঈমান ও তাওহিদ বৃদ্ধি পায়। কারণ, এই সূরাতে আল্লাহর একত্ববাদ ও তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
-
মানবিক গুণাবলী বৃদ্ধি: সূরা ফালাক ও সূরা নাস পাঠ করলে মানবিক গুণাবলী বৃদ্ধি পায়। কারণ, এই সূরাতে মানবিক গুণাবলী বৃদ্ধির জন্য অনেক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।