লুইস অ্যাসিড হল এমন একটি যৌগ যা একটি ইলেকট্রন জোড় গ্রহণ করতে পারে। লুইস অ্যাসিডকে একটি ইলেকট্রন-ঘাটতি যৌগও বলা হয়। লুইস অ্যাসিডের উদাহরণ হল:
-
অ্যামোনিয়া (NH3)
-
সালফার ডাই অক্সাইড (SO2)
-
ফ্লোরিন (F)
-
অ্যাসিড হাইড্রোজেন (H+)
লুইস অ্যাসিড একটি ইলেকট্রন জোড় গ্রহণ করে একটি লুইস সংযোজন যৌগ গঠন করে। উদাহরণস্বরূপ, অ্যামোনিয়া একটি লুইস অ্যাসিড, এবং এটি একটি লুইস ক্ষার, যেমন ফ্লোরিন, এর সাথে একটি লুইস সংযোজন যৌগ গঠন করে।
লুইস অ্যাসিডের বৈশিষ্ট্য:
-
এগুলি ইলেকট্রন-ঘাটতি যৌগ।
-
এগুলি একটি ইলেকট্রন জোড় গ্রহণ করতে পারে।
-
এগুলি লুইস সংযোজন যৌগ গঠন করে।
লুইস অ্যাসিডের ব্যবহার:
-
লুইস অ্যাসিডগুলি শিল্পে বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়।
-
এগুলি দ্রাবক, রাসায়নিক বিক্রিয়াক এবং প্লাস্টিকের উপকরণ হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
-
এগুলি জৈবিক প্রক্রিয়াগুলিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
লুইস অ্যাসিডের সংজ্ঞা:
লুইস অ্যাসিডের সংজ্ঞাটি মার্কিন বিজ্ঞানী গিলবার্ট নিউটন লুইস প্রবর্তন করেছিলেন। তিনি ১৯২৩ সালে লুইস অ্যাসিড এবং লুইস ক্ষারের একটি নতুন সংজ্ঞা প্রদান করেন। লুইসের সংজ্ঞা অনুসারে, একটি লুইস অ্যাসিড হল এমন একটি যৌগ যা একটি ইলেকট্রন জোড় গ্রহণ করতে পারে।
লুইস অ্যাসিডের ইলেকট্রন জোড় গ্রহণের ক্ষমতা তার ইলেকট্রনঘাটতিতার উপর নির্ভর করে। ইলেকট্রনঘাটতিতা হল একটি পরমাণুর বা আয়নের ইলেকট্রনের সংখ্যা এবং ধনাত্মক চার্জের মধ্যে পার্থক্য। ইলেকট্রনঘাটতিতা যত বেশি হবে, লুইস অ্যাসিডের ইলেকট্রন জোড় গ্রহণের ক্ষমতা তত বেশি হবে।