কলার প্রধান পুষ্টিগুণ -
পুষ্টি উপাদানপরিমাণ (প্রতি ১০০ গ্রাম কলায়) উপকারিতা -
★ ক্যালরি (শক্তি) প্রায় ৮৯ কিলোক্যালরি শরীরে শক্তি জোগায়।
★ কার্বোহাইড্রেট প্রায় ২৩ গ্রামতাৎক্ষণিক শক্তির উৎস।
★ চিনি (গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ, সুক্রোজ) প্রায় ১২ গ্রাম সহজে হজম হয় ও শক্তি দেয়।
★ আঁশ (ফাইবার) প্রায় ২.৬ গ্রাম হজমে সাহায্য করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
★ প্রোটিন প্রায় ১.১ গ্রাম পেশী গঠনে সহায়ক।
★ চর্বি প্রায় ০.৩ গ্রাম হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় (খুব অল্প)।
★ পটাশিয়াম (K) প্রায় ৩৫৮ মি.গ্রা. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, হৃদযন্ত্র সুরক্ষিত রাখে।
★ ভিটামিন C প্রায় ৮.৭ মি.গ্রা. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
★ ভিটামিন B6 (পাইরিডক্সিন)প্রায় ০.৪ মি.গ্রা. স্নায়ুতন্ত্র ও মস্তিষ্কের কার্যক্রমে সহায়ক।
★ ম্যাগনেসিয়াম প্রায় ২৭ মি.গ্রা. হাড় ও পেশীকে শক্তিশালী রাখে।
★ ম্যাঙ্গানিজ প্রায় ০.৩ মি.গ্রা. বিপাকক্রিয়া ঠিক রাখে।
★ লোহা (Iron) অল্প পরিমাণে, রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে সাহায্য করে।
কলার উপকারিতা সংক্ষেপে -
১. হজমে সহায়তা করে - আঁশ ও এনজাইম থাকার কারণে খাবার সহজে হজম হয়।
২. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে - পটাশিয়াম উচ্চমাত্রায় থাকায় সোডিয়ামের প্রভাব কমায়।
৩. মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখে - ভিটামিন B6 মস্তিষ্কের স্নায়ুতন্ত্রকে সক্রিয় রাখে।
৪. শক্তি যোগায় - খেলোয়াড়দের জন্য দারুণ প্রাকৃতিক শক্তির উৎস।
৫. মুড ভালো রাখে - এতে থাকা ট্রিপটোফ্যান সেরোটোনিন তৈরি করে, যা মন ভালো রাখে।
৬. অম্লতা কমায় - পাকস্থলীতে এসিড কমিয়ে গ্যাস্ট্রিকের ঝুঁকি হ্রাস করে।
৭. শরীরের পানির ভারসাম্য বজায় রাখে - ইলেকট্রোলাইট সরবরাহ করে।