ডিম একটি পুষ্টিকর খাবার এবং এটি সংরক্ষণের সঠিক পদ্ধতি জানা থাকলে অনেকদিন পর্যন্ত ভালো রাখা যায়। ডিম সংরক্ষণের কিছু কার্যকর পদ্ধতি নিচে আলোচনা করা হলো:
১. ঠাণ্ডা স্থানে সংরক্ষণ (ফ্রিজে):
* ডিম সংরক্ষণের সবচেয়ে ভালো উপায় হলো রেফ্রিজারেটরে রাখা। ডিম ফ্রিজের তাকে, যেখানে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইট (৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বা তার কম থাকে, সেখানে রাখলে প্রায় ৩-৫ সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকে।
* ডিমের বক্স বা কার্টন থাকলে তার মধ্যে করেই ফ্রিজে রাখুন। এতে ডিমের মান বজায় থাকে এবং অন্যান্য খাবারের গন্ধ ডিমের মধ্যে প্রবেশ করে না।
* ডিমের খোসা না ধুয়ে ফ্রিজে রাখুন। ডিম ব্যবহার করার ঠিক আগে ধুয়ে নিন। কারণ ডিমের খোসায় একটি প্রাকৃতিক আবরণ থাকে যা ডিমকে ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। ধুলে সেই আবরণ নষ্ট হয়ে যায়।
২. ডিম সেদ্ধ করে সংরক্ষণ:
* ডিম সেদ্ধ করার পরেও সংরক্ষণ করা যায়। সেদ্ধ ডিম খোসা সহ বা খোসা ছাড়া, উভয় ভাবেই ফ্রিজে রাখা যায়। তবে খোসা সহ রাখলে ডিমের আর্দ্রতা বজায় থাকে।
* সেদ্ধ ডিম ফ্রিজে রাখলে ২-৩ দিনের মধ্যে খেয়ে নেওয়া উচিত।
৩. ডিমের সাদা অংশ ও কুসুম আলাদা করে সংরক্ষণ:
* ডিমের সাদা অংশ এবং কুসুম আলাদা করেও সংরক্ষণ করা যায়। ডিম ভেঙে কুসুম ও সাদা অংশ আলাদা করে নিন।
* ডিমের সাদা অংশ এয়ারটাইট পাত্রে ভরে ফ্রিজে রাখলে ৪ দিন পর্যন্ত ভালো থাকে।
* ডিমের কুসুম সামান্য লবণ বা চিনি মিশিয়ে এয়ারটাইট পাত্রে ভরে ফ্রিজে রাখলে ২-৩ দিন পর্যন্ত ভালো থাকে।
৪. খোসার ছিদ্র বন্ধ করে সংরক্ষণ:
* ডিমের খোসায় ছোট ছোট ছিদ্র থাকে যার মাধ্যমে বাতাস প্রবেশ করতে পারে। এই ছিদ্র বন্ধ করে ডিমের সতেজতা বজায় রাখা যায়।
* এই পদ্ধতিতে ডিম সংরক্ষণের জন্য প্রথমে পানিতে সোডিয়াম সিলিকেট মিশিয়ে (৯:১ অনুপাতে) সেই দ্রবণে ডিম ডুবিয়ে রাখতে হয়। এতে ডিমের খোসার ছিদ্র বন্ধ হয়ে যায় এবং ডিম অনেকদিন ভালো থাকে।
কিছু অতিরিক্ত টিপস:
* ডিম কেনার সময় দেখে নিন ডিমের খোসা যেন অক্ষত থাকে, কোনো creak বা ফাটল না থাকে।
* ডিম ফ্রিজের দরজায় না রেখে ভেতরের তাকে রাখুন, যেখানে তাপমাত্রা স্থিতিশীল থাকে।
* ডিম সংরক্ষণের আগে তা ধুয়ে ফেলবেন না। ব্যবহারের আগে ধুয়ে নিন।
উপরে দেওয়া পদ্ধতিগুলি অনুসরণ করে ডিম সংরক্ষণ করলে ডিম অনেকদিন পর্যন্ত সতেজ এবং খাওয়ার যোগ্য থাকে।