89 বার দেখা হয়েছে
"তথ্য ও প্রযুক্তি" বিভাগে করেছেন

1 টি উত্তর

0 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন
নির্বাচিত করেছেন
 
সর্বোত্তম উত্তর

ক্লাউড কম্পিউটিং এবং ডিস্ট্রিবিউটেড কম্পিউটিং উভয়ই বৃহৎ পরিসরে ডেটা প্রক্রিয়াকরণ এবং সংস্থান ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি, তবে এদের কাজের পদ্ধতি এবং উদ্দেশ্য ভিন্ন।


১. সংজ্ঞা:

  • ক্লাউড কম্পিউটিং:
    এটি একটি পরিষেবা-ভিত্তিক মডেল, যেখানে ইন্টারনেটের মাধ্যমে অন-ডিমান্ড কম্পিউটিং সংস্থান (যেমন সার্ভার, স্টোরেজ, ডেটাবেস) প্রদান করা হয়।
    উদাহরণ: Amazon Web Services (AWS), Microsoft Azure, Google Cloud।

  • ডিস্ট্রিবিউটেড কম্পিউটিং:
    এটি এমন একটি কম্পিউটিং পদ্ধতি, যেখানে একটি বড় কাজ বা সমস্যা বিভিন্ন অংশে বিভক্ত করে একাধিক কম্পিউটারে বা সিস্টেমে সমান্তরালভাবে সমাধান করা হয়।
    উদাহরণ: Apache Hadoop, MPI (Message Passing Interface)।


২. কাজের পদ্ধতি:

  • ক্লাউড কম্পিউটিং:

    • একটি কেন্দ্রীয় সার্ভার বা ক্লাউড প্রদানকারীর মাধ্যমে পরিষেবাগুলো সরবরাহ করা হয়।
    • ব্যবহারকারীরা পরিষেবাগুলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে অ্যাক্সেস করে।
    • এটি মূলত পরিষেবা প্রদান মডেল (IaaS, PaaS, SaaS) ভিত্তিক।
  • ডিস্ট্রিবিউটেড কম্পিউটিং:

    • একটি কাজকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে বিভিন্ন কম্পিউটার বা সার্ভারে সমান্তরালভাবে প্রক্রিয়া করা হয়।
    • কম্পিউটারগুলো একসঙ্গে কাজ করে একটি বড় সমস্যা সমাধান করে।
    • এটি মূলত সিস্টেম স্থাপনা ও কার্যক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।

৩. ব্যবহারের উদ্দেশ্য:

  • ক্লাউড কম্পিউটিং:

    • অন-ডিমান্ড অ্যাক্সেস প্রদান করা।
    • সংস্থান ব্যবস্থাপনার সহজতা।
    • ডেটা স্টোরেজ, ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন হোস্টিং, এবং ব্যাকআপ সমাধান।
  • ডিস্ট্রিবিউটেড কম্পিউটিং:

    • জটিল সমস্যার দ্রুত সমাধান।
    • বৃহৎ ডেটা প্রক্রিয়াকরণ এবং বিশ্লেষণ।
    • উচ্চ কার্যক্ষমতা অর্জন।

৪. উদাহরণ:

ক্ষেত্র ক্লাউড কম্পিউটিং ডিস্ট্রিবিউটেড কম্পিউটিং
ব্যবহারক্ষেত্র SaaS অ্যাপ্লিকেশন, ব্যাকআপ বৈজ্ঞানিক গবেষণা, বিগ ডেটা
উদাহরণ Google Drive, Dropbox, AWS Hadoop, Blockchain

৫. ইন্টারনেটের প্রয়োজনীয়তা:

  • ক্লাউড কম্পিউটিং:

    • কাজের জন্য ইন্টারনেট সংযোগ অপরিহার্য।
    • ক্লাউড পরিষেবা ইন্টারনেটের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়।
  • ডিস্ট্রিবিউটেড কম্পিউটিং:

    • ইন্টারনেট ছাড়াও কাজ করতে পারে।
    • সিস্টেমগুলো একটি অভ্যন্তরীণ নেটওয়ার্কে সংযুক্ত থাকতে পারে।

৬. নির্ভরতা:

  • ক্লাউড কম্পিউটিং:

    • একটি কেন্দ্রীয় সার্ভারের উপর বেশি নির্ভরশীল।
  • ডিস্ট্রিবিউটেড কম্পিউটিং:

    • বিভিন্ন নোড (ক্লাস্টার বা কম্পিউটার) একসঙ্গে কাজ করে।

৭. স্থিতিস্থাপকতা ও স্কেলিং:

  • ক্লাউড কম্পিউটিং:

    • সহজে উল্লম্ব (Vertical) এবং অনুভূমিক (Horizontal) স্কেলিং সম্ভব।
    • সংস্থান ব্যবহারের জন্য পে-অ্যাজ-ইউ-গো মডেল।
  • ডিস্ট্রিবিউটেড কম্পিউটিং:

    • স্কেলিং বেশি কার্যকর তবে পরিচালনা জটিল।

৮. সংক্ষেপে পার্থক্য:

বৈশিষ্ট্য ক্লাউড কম্পিউটিং ডিস্ট্রিবিউটেড কম্পিউটিং
কেন্দ্রীভূত vs বিকেন্দ্রীভূত কেন্দ্রীভূত বিকেন্দ্রীভূত
মূল উদ্দেশ্য পরিষেবা প্রদান জটিল সমস্যা সমাধান
ইন্টারনেট নির্ভরতা অপরিহার্য নির্ভরশীল নয়
নির্ভরশীলতা ক্লাউড সার্ভারে বিভিন্ন নোডে

উপসংহার:

  • ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবহারকারীদের জন্য পরিষেবা প্রদান সহজ এবং ব্যবস্থাপনা সাশ্রয়ী।
  • ডিস্ট্রিবিউটেড কম্পিউটিং উচ্চ কার্যক্ষমতা এবং জটিল সমস্যার সমাধানের জন্য কার্যকর।

এই দুটি প্রযুক্তি পরস্পরের পরিপূরক, তবে তারা আলাদা চাহিদা পূরণের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।

এরকম আরও কিছু প্রশ্ন

1 টি উত্তর
18 ডিসেম্বর, 2020 "তথ্য ও প্রযুক্তি" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Bodrul Alom
1 টি উত্তর

36,280 টি প্রশ্ন

35,489 টি উত্তর

1,742 টি মন্তব্য

3,813 জন সদস্য

Ask Answers সাইটে আপনাকে সুস্বাগতম! এখানে আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং অন্যদের প্রশ্নে উত্তর প্রদান করতে পারবেন ৷ আর অনলাইনে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য উন্মুক্ত তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার কাজে অবদান রাখতে পারবেন ৷
7 জন অনলাইনে আছেন
0 জন সদস্য, 7 জন অতিথি
আজকে ভিজিট : 8878
গতকাল ভিজিট : 12533
সর্বমোট ভিজিট : 53431195
এখানে প্রকাশিত সকল প্রশ্ন ও উত্তরের দায়ভার কেবল সংশ্লিষ্ট প্রশ্নকর্তা ও উত্তর দানকারীর৷ কোন প্রকার আইনি সমস্যা Ask Answers কর্তৃপক্ষ বহন করবে না৷
...