ক্লাউড কম্পিউটিং এবং ডিস্ট্রিবিউটেড কম্পিউটিং উভয়ই বৃহৎ পরিসরে ডেটা প্রক্রিয়াকরণ এবং সংস্থান ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি, তবে এদের কাজের পদ্ধতি এবং উদ্দেশ্য ভিন্ন।
১. সংজ্ঞা:
-
ক্লাউড কম্পিউটিং:
এটি একটি পরিষেবা-ভিত্তিক মডেল, যেখানে ইন্টারনেটের মাধ্যমে অন-ডিমান্ড কম্পিউটিং সংস্থান (যেমন সার্ভার, স্টোরেজ, ডেটাবেস) প্রদান করা হয়।
উদাহরণ: Amazon Web Services (AWS), Microsoft Azure, Google Cloud।
-
ডিস্ট্রিবিউটেড কম্পিউটিং:
এটি এমন একটি কম্পিউটিং পদ্ধতি, যেখানে একটি বড় কাজ বা সমস্যা বিভিন্ন অংশে বিভক্ত করে একাধিক কম্পিউটারে বা সিস্টেমে সমান্তরালভাবে সমাধান করা হয়।
উদাহরণ: Apache Hadoop, MPI (Message Passing Interface)।
২. কাজের পদ্ধতি:
৩. ব্যবহারের উদ্দেশ্য:
৪. উদাহরণ:
ক্ষেত্র
|
ক্লাউড কম্পিউটিং
|
ডিস্ট্রিবিউটেড কম্পিউটিং
|
ব্যবহারক্ষেত্র
|
SaaS অ্যাপ্লিকেশন, ব্যাকআপ
|
বৈজ্ঞানিক গবেষণা, বিগ ডেটা
|
উদাহরণ
|
Google Drive, Dropbox, AWS
|
Hadoop, Blockchain
|
৫. ইন্টারনেটের প্রয়োজনীয়তা:
৬. নির্ভরতা:
৭. স্থিতিস্থাপকতা ও স্কেলিং:
৮. সংক্ষেপে পার্থক্য:
বৈশিষ্ট্য
|
ক্লাউড কম্পিউটিং
|
ডিস্ট্রিবিউটেড কম্পিউটিং
|
কেন্দ্রীভূত vs বিকেন্দ্রীভূত
|
কেন্দ্রীভূত
|
বিকেন্দ্রীভূত
|
মূল উদ্দেশ্য
|
পরিষেবা প্রদান
|
জটিল সমস্যা সমাধান
|
ইন্টারনেট নির্ভরতা
|
অপরিহার্য
|
নির্ভরশীল নয়
|
নির্ভরশীলতা
|
ক্লাউড সার্ভারে
|
বিভিন্ন নোডে
|
উপসংহার:
-
ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবহারকারীদের জন্য পরিষেবা প্রদান সহজ এবং ব্যবস্থাপনা সাশ্রয়ী।
-
ডিস্ট্রিবিউটেড কম্পিউটিং উচ্চ কার্যক্ষমতা এবং জটিল সমস্যার সমাধানের জন্য কার্যকর।
এই দুটি প্রযুক্তি পরস্পরের পরিপূরক, তবে তারা আলাদা চাহিদা পূরণের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।