ক্লাউড কম্পিউটিং এবং ডেটা সেন্টার: একটি সহজ ব্যাখ্যা
আপনি যদি কখনো ইন্টারনেট ব্যবহার করেছেন, তাহলে আপনি আসলে ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবহার করেছেন। কিন্তু ক্লাউড কম্পিউটিং এবং ডেটা সেন্টার, এই দুইটি শব্দ প্রায়শই একই অর্থে ব্যবহার করা হয়। আসলে এদের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য আছে।
ডেটা সেন্টার হলো একটি শারীরিক স্থান যেখানে হাজার হাজার কম্পিউটার এবং সার্ভার একসাথে থাকে। এই সার্ভারগুলোই আমাদের ডেটা স্টোর করে এবং প্রসেস করে। ডেটা সেন্টারগুলোতে সাধারণত শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ, বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার মতো অনেক উন্নত সুবিধা থাকে।
ক্লাউড কম্পিউটিং হলো একটি পরিষেবা যা এই ডেটা সেন্টারগুলোকে ব্যবহার করে। ক্লাউড কম্পিউটিং এর মাধ্যমে আমরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে যেকোনো জায়গা থেকে আমাদের ডেটা অ্যাক্সেস করতে পারি, ফাইল শেয়ার করতে পারি, অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করতে পারি এবং আরো অনেক কিছু করতে পারি।
এদের মধ্যে মূল পার্থক্যগুলো হল:
* শারীরিক vs. ভার্চুয়াল: ডেটা সেন্টার হলো একটি শারীরিক স্থান, আর ক্লাউড কম্পিউটিং হলো একটি ভার্চুয়াল পরিষেবা।
* হার্ডওয়্যার vs. সফ্টওয়্যার: ডেটা সেন্টারে হার্ডওয়্যার (কম্পিউটার, সার্ভার ইত্যাদি) থাকে, আর ক্লাউড কম্পিউটিং হলো সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
* স্থান: ডেটা সেন্টার একটি নির্দিষ্ট স্থানে অবস্থিত, আর ক্লাউড কম্পিউটিং এর মাধ্যমে আপনি যেকোনো জায়গা থেকে পরিষেবা নিতে পারেন।
একটি উদাহরণ:
ধরুন আপনি একটি ছবি আপলোড করছেন ফেসবুকে। এই ছবিটি একটি ডেটা সেন্টারে স্টোর হয়। কিন্তু আপনি যেখানেই থাকুন না কেন, আপনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে এই ছবিটি দেখতে পারবেন। এখানে ফেসবুক ক্লাউড কম্পিউটিং পরিষেবা ব্যবহার করছে এবং আপনি এই পরিষেবার একজন ব্যবহারকারী।
সারসংক্ষেপ:
* ডেটা সেন্টার: হার্ডওয়্যার, শারীরিক স্থান, ডেটা স্টোরেজ
* ক্লাউড কম্পিউটিং: সফ্টওয়্যার, ভার্চুয়াল পরিষেবা, ইন্টারনেটের মাধ্যমে অ্যাক্সেস