মোবাইল ফোনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ব্যবহৃত হচ্ছে বিভিন্ন উপায়ে, যা মোবাইল অভিজ্ঞতাকে অনেক উন্নত করছে। কিছু প্রধান উদাহরণ:
-
ক্যামেরা ফিচার: AI মোবাইল ক্যামেরার মাধ্যমে ছবি এবং ভিডিওর গুণমান উন্নত করে। যেমন, প্রাপ্তি অটো-এডিটিং, পোর্ট্রেট মোড, এবং নাইট মোড, যা AI এর সাহায্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে দৃশ্যের আলো, রঙ এবং গভীরতা ক্যালিব্রেট করে।
-
ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট: AI ভিত্তিক ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট (যেমন গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট, সিরি) ব্যবহারকারীদের জন্য দৈনন্দিন কাজ সহজ করে, যেমন, কল করা, টেক্সট পাঠানো, ওয়েব সার্চ করা এবং রিমাইন্ডার সেট করা।
-
ব্যাটারি অপটিমাইজেশন: AI মোবাইলের ব্যাটারি ব্যবহারের ক্ষেত্রে স্মার্ট অপটিমাইজেশন করে, যাতে ব্যাটারি দীর্ঘসময় ধরে চলে। AI মোবাইলের ব্যবহার প্যাটার্ন বিশ্লেষণ করে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপসকে ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে বন্ধ করে দেয়।
-
অ্যাপ রেকমেন্ডেশন: AI মোবাইলের ব্যবহারকারীর পছন্দ ও আচরণের ভিত্তিতে অ্যাপ রেকমেন্ডেশন প্রদান করে, যা একাধিক অ্যাপ ব্যবহারে সময় বাঁচায় এবং অভিজ্ঞতাকে আরও পার্সোনালাইজড করে তোলে।
-
সিকিউরিটি: AI ফেস রিকগনিশন বা ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে স্মার্টফোনের নিরাপত্তা বাড়ায়। এর মাধ্যমে ফোনে অনধিকার প্রবেশ রোধ করা যায়।
-
টেক্সট পয়রফেকশন এবং ট্রান্সলেশন: AI টেকনোলজি ব্যবহৃত হচ্ছে টেক্সট অটো-করেকশন, ভাষা অনুবাদ এবং টাইপিংয়ের গতি বাড়ানোর জন্য। যেমন, গুগল ট্রান্সলেট ও কিপি অ্যাসিস্ট্যান্ট।
এভাবে, AI মোবাইল অভিজ্ঞতাকে আরও স্মার্ট, দক্ষ এবং ব্যবহারকারী বান্ধব করে তুলছে।