ঐতিহাসিকভাবে, মুদ্রা ধাতু বলতে সেইসব ধাতু বা মিশ্রণকে বোঝায় যেগুলিকে মুদ্রা তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয়। এই ধাতবগুলির মধ্যে রয়েছে:
-
তামা: তামা প্রাচীনতম মুদ্রা ধাতুগুলির মধ্যে একটি এবং ব্রোঞ্জ তৈরির জন্যও ব্যবহৃত হয়।
-
রুপা: রুপা মুদ্রা তৈরির জন্য একটি জনপ্রিয় ধাতু কারণ এটি দীর্ঘস্থায়ী, মসৃণ এবং উজ্জ্বল।
-
সোনা: সোনা একটি বিরল এবং মূল্যবান ধাতু যা মুদ্রা, গহনা এবং অন্যান্য প্রাচুর্যপূর্ণ সামগ্রী তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয়।
এই তিনটি ধাতুর পাশাপাশি, বর্তমানে অন্যান্য কিছু ধাতুরও মুদ্রা তৈরির জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। এই ধাতুর মধ্যে রয়েছে:
-
প্ল্যাটিনাম: প্ল্যাটিনাম একটি বিরল এবং মূল্যবান ধাতু যা সোনায় সাদৃশ্যপূর্ণ।
-
প্যালাডিয়াম: প্যালাডিয়াম একটি বিরল এবং মূল্যবান ধাতু যা প্ল্যাটিনামের চেয়ে কম মূল্যবান।
-
রূপা-প্ল্যাটিনাম মিশ্রণ: রূপা-প্ল্যাটিনাম মিশ্রণগুলি মুদ্রা তৈরির জন্য একটি বিকল্প কারণ এগুলি সোনা বা প্ল্যাটিনামের চেয়ে কম ব্যয়বহুল।
মুদ্রা ধাতুগুলির মধ্যে কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা তাদের মুদ্রা তৈরির জন্য উপযুক্ত করে তোলে। এই বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে রয়েছে:
-
দীর্ঘস্থায়িত্ব: মুদ্রা ধাতুগুলি দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহার করা উচিত।
-
মসৃণতা: মুদ্রা ধাতুগুলি মসৃণ হওয়া উচিত যাতে সেগুলি সহজেই হাতে ধরা যায় এবং ব্যবহার করা যায়।
-
উজ্জ্বলতা: মুদ্রা ধাতুগুলি উজ্জ্বল হওয়া উচিত যাতে সেগুলি দৃশ্যমান এবং আকর্ষণীয় হয়।
-
মূল্যবানতা: মুদ্রা ধাতুগুলি মূল্যবান হওয়া উচিত যাতে সেগুলিকে বহন করা এবং ব্যবহার করা নিরাপদ হয়।
এই বৈশিষ্ট্যগুলির কারণে, মুদ্রা ধাতুগুলি মুদ্রা তৈরির জন্য আদর্শ উপাদান।