রূপা পৃথিবীতে প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া যায়। এটি আকরিক আকারে পাওয়া যায়। রূপার আকরিকের মধ্যে রুপার পরিমাণ প্রায় ৫ থেকে ১০% থাকে। রূপা উত্তোলনের জন্য প্রথমে আকরিককে গুঁড়ো করা হয়। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে শুকিয়ে নেওয়া হয়। শুকনো আকরিককে বিগালকের মাধ্যমে গলিয়ে ফেলা হয়। এতে যে সংকর পদার্থ উৎপন্ন হয় তাকে কাঠকয়লা দিয়ে পোড়ানো হয়। বাতাসের উপস্থিতিতে রুপা জারিত হয় না বললেই চলে, কিন্তু সীসা প্রায় সম্পূর্ণ জারিত হয়ে অক্সাইড উৎপন্ন করে। ফলে সীসা এবং অন্যান্য অপদ্রব্য রুপার উপরে ভাসমান অবস্থায় পড়ে যায়। এরপর রুপাকে আলাদা করে নেওয়া হয়।
রূপা উত্তোলনের এই পদ্ধতিকে "অক্সাইডাইজিং প্রক্রিয়া" বলা হয়। এছাড়াও রূপা উত্তোলনের জন্য "সালফাইড প্রক্রিয়া" নামে আরেকটি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এই পদ্ধতিতে আকরিককে সালফিউরিক অ্যাসিডে দ্রবীভূত করা হয়। এরপর রুপাকে ইলেক্ট্রোলাইসিস পদ্ধতিতে পৃথক করা হয়।
রূপা উত্তোলনের পর এটিকে বিভিন্ন ধরনের কাজে ব্যবহার করা হয়। এটি মূলত অলঙ্কার, মুদ্রা, ইলেকট্রনিক পণ্য, টেবিলওয়ার,রান্নাঘরের সরঞ্জাম ইত্যাদি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
রূপা উত্তোলনের জন্য ব্যবহৃত কয়েকটি প্রধান দেশ হলো মেক্সিকো, পেরু, চীন, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।
রূপার রাসায়নিক প্রতীক Ag। এটি একটি নরম, সাদা রঙের ধাতু। এর পারমাণবিক সংখ্যা 47। রূপার গলনাঙ্ক ৯৬২° সেলসিয়াস এবং স্ফুটনাঙ্ক ২১৬২° সেলসিয়াস।