এসিডকে বিভিন্নভাবে শ্রেণীবদ্ধ করা যায়। এর মধ্যে প্রধান কয়েকটি শ্রেণীবিভাগ হল:
-
উৎপত্তি অনুসারে
-
জৈব এসিড: জৈব যৌগ থেকে উৎপন্ন এসিডকে জৈব এসিড বলে। যেমন: সাইট্রিক এসিড, অ্যাসিটিক এসিড, এসকরবিক এসিড ইত্যাদি।
-
অজৈব এসিড: অজৈব যৌগ থেকে উৎপন্ন এসিডকে অজৈব এসিড বলে। যেমন: সালফিউরিক এসিড, হাইড্রোক্লোরিক এসিড, নাইট্রিক এসিড, ফসফরিক এসিড ইত্যাদি।
-
রাসায়নিক গঠন অনুসারে
-
হাইড্রোজেন এসিড: এই ধরনের এসিডের অণুতে একটি হাইড্রোজেন পরমাণু থাকে। যেমন: হাইড্রোক্লোরিক এসিড,হাইড্রোব্রমিক এসিড, হাইড্রোজেন সালফেট ইত্যাদি।
-
অক্সোঅ্যাসিড: এই ধরনের এসিডের অণুতে একটি বা একাধিক অক্সিজেন পরমাণু থাকে। যেমন: সালফিউরিক এসিড,নাইট্রিক এসিড, ফসফরিক এসিড ইত্যাদি।
-
হাইড্রোজেন হাইড্রাইড এসিড: এই ধরনের এসিডের অণুতে একটি হাইড্রোজেন পরমাণু এবং একটি হ্যালোজেন পরমাণু থাকে। যেমন: হাইড্রোক্লোরিক এসিড, হাইড্রোব্রমিক এসিড, হাইড্রোজেন ফ্লোরাইড ইত্যাদি।
-
কার্বক্সিলিক এসিড: এই ধরনের এসিডের অণুতে একটি কার্বক্সিল গ্রুপ (-COOH) থাকে। যেমন: সাইট্রিক এসিড,অ্যাসিটিক এসিড, এসকরবিক এসিড ইত্যাদি।
-
ফ্যাটি এসিড: এই ধরনের এসিডের অণুতে একটি কার্বক্সিল গ্রুপ এবং একটি বা একাধিক কার্বন-কার্বন ডাবল বন্ড থাকে। যেমন: লিনোলিক এসিড, ওলিক এসিড ইত্যাদি।
-
শক্তি অনুসারে
-
শক্তিশালী এসিড: এই ধরনের এসিড জলে সম্পূর্ণরূপে আয়নিত হয় এবং হাইড্রোজেন আয়ন (H+) দান করে। যেমন:সালফিউরিক এসিড, নাইট্রিক এসিড, ফসফরিক এসিড ইত্যাদি।
-
দুর্বল এসিড: এই ধরনের এসিড জলে আংশিকভাবে আয়নিত হয় এবং হাইড্রোজেন আয়ন (H+) দান করে। যেমন:অ্যাসিটিক এসিড, কার্বনিক এসিড ইত্যাদি।
-
ব্যবহার অনুসারে
-
রাসায়নিক শিল্পে: সালফিউরিক এসিড, নাইট্রিক এসিড, ফসফরিক এসিড ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
-
ধাতুবিদ্যায়: সালফিউরিক এসিড, হাইড্রোক্লোরিক এসিড ইত্যাদি ধাতুকে গলিয়ে দ্রবীভূত করতে ব্যবহৃত হয়।
-
কৃষিক্ষেত্রে: অ্যাসিটিক এসিড, কার্বনিক এসিড ইত্যাদি কীটনাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
-
খাদ্য শিল্পে: সাইট্রিক এসিড, অ্যাসিটিক এসিড ইত্যাদি খাবারকে স্বাদ বাড়ানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
-
বিশুদ্ধকরণ কাজে: সালফিউরিক এসিড, হাইড্রোক্লোরিক এসিড ইত্যাদি বিভিন্ন পদার্থকে বিশুদ্ধ করতে ব্যবহৃত হয়।
বাংলাদেশে এসিডের অপব্যবহার রোধে ২০০২ সালে "এসিড নিয়ন্ত্রণ আইন" প্রণয়ন করা হয়। এই আইনে এসিডের আমদানি,উৎপাদন, পরিবহন, মজুদ, বিক্রয় ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।