খাদ্য পিরামিড হলো আমাদের খাদ্য গ্রহণের পরিমাণের একটি ডায়াগ্রাম্যাটিক উপস্থাপনা। এই পিরামিডে, নিচের স্তরগুলিতে থাকা খাবারগুলি বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত এবং উপরের স্তরগুলিতে থাকা খাবারগুলি কম পরিমাণে খাওয়া উচিত।
খাদ্য পিরামিডের পাঁচটি স্তর রয়েছে:
-
শর্করাজাতীয় খাবার: এই স্তরে ভাত, রুটি, আলু, নুডলস, পাস্তা, ফলমূল, শাকসবজি ইত্যাদি খাবার রয়েছে। শর্করা আমাদের শরীরের জন্য প্রধান শক্তির উৎস। প্রতিদিন ৬-১১ সার্ভিংস শর্করাজাতীয় খাবার খাওয়া উচিত।
-
ভিটামিন ও খনিজ লবণ সমৃদ্ধ খাবার: এই স্তরে শাকসবজি, ফলমূল, ডাল, বাদাম, বীজ ইত্যাদি খাবার রয়েছে। এই খাবারগুলিতে ভিটামিন, খনিজ লবণ, ফাইবার ইত্যাদি পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। প্রতিদিন ৫-৯ সার্ভিংস শাকসবজি এবং ২-৪ সার্ভিংস ফলমূল খাওয়া উচিত।
-
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার: এই স্তরে মাছ, মাংস, ডিম, ডাল, বাদাম, বীজ ইত্যাদি খাবার রয়েছে। প্রোটিন আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় একটি পুষ্টি উপাদান, যা কোষের বৃদ্ধি ও মেরামত, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ইত্যাদি কাজে সাহায্য করে। প্রতিদিন ২-৩ সার্ভিংস প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত।
-
দুগ্ধজাতীয় খাবার: এই স্তরে দুধ, দই, পনির ইত্যাদি খাবার রয়েছে। দুগ্ধজাতীয় খাবারগুলিতে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন ইত্যাদি পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যা আমাদের হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। প্রতিদিন ২-৩ সার্ভিংস দুগ্ধজাতীয় খাবার খাওয়া উচিত।
-
চর্বি ও তেল: এই স্তরে তেল, মাখন, মাখন, বাদাম, বীজ ইত্যাদি খাবার রয়েছে। চর্বি ও তেল আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় একটি পুষ্টি উপাদান, যা শরীরের তাপ উৎপাদন, কোষের বৃদ্ধি ও মেরামত ইত্যাদি কাজে সাহায্য করে। তবে, অতিরিক্ত চর্বি ও তেল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। প্রতিদিন ২-৩ চা চামচ চর্বি ও তেল খাওয়া উচিত।
খাদ্য পিরামিড অনুসরণ করে খাদ্য গ্রহণ করলে আমরা সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে পারি, যা আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
খাদ্য পিরামিডের কিছু বিষয় মনে রাখা উচিত:
-
খাদ্য পিরামিড একটি সাধারণ নির্দেশিকা। আমাদের ব্যক্তিগত চাহিদা ও স্বাস্থ্যের অবস্থার উপর নির্ভর করে খাদ্য পিরামিডের পরিবর্তন করতে হতে পারে।
-
খাদ্য পিরামিড অনুসরণ করে খাদ্য গ্রহণ করলেও, বিভিন্ন ধরনের খাবার গ্রহণ করা উচিত।
-
খাবারের পরিমাণ নির্ধারণের সময়, একটি পরিবেশন বলতে কী বোঝায় তা জেনে নেওয়া উচিত।
-
খাবারের সাথে প্রচুর পরিমাণে জল বা অন্যান্য তরল পান করা উচিত।
খাদ্য পিরামিড অনুসরণ করে খাদ্য গ্রহণ করলে আমরা সুস্থ ও সুন্দর জীবনযাপন করতে পারি।