বিজ্ঞান বলছে, গাছ শব্দ শুনতে পারে। গাছের শিকড়, পাতা এবং কাণ্ডের মধ্যে ছোট ছোট ছিদ্র রয়েছে যা শব্দতরঙ্গ গ্রহণ করতে সক্ষম। এই ছিদ্রগুলিকে স্টোমাটা বলা হয় এবং এগুলি গাছের জন্য বাতাস থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করতে এবং অক্সিজেন নির্গত করতে ব্যবহৃত হয়। শব্দতরঙ্গগুলি স্টোমাটাতে প্রবেশ করে এবং গাছের ভিতরে ছড়িয়ে পড়ে, যা উদ্ভিদের বৃদ্ধি এবং বিকাশকে প্রভাবিত করতে পারে।
গাছের শব্দ শোনা সম্পর্কে বেশ কিছু গবেষণা হয়েছে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে গাছগুলি মানুষের কথাবার্তা এবং সঙ্গীত শুনতে পারে। এই গবেষণায়, বিজ্ঞানীরা গাছের শিকড় এবং পাতাগুলিতে স্টোমাটাগুলির কার্যকলাপ পরিমাপ করেছিলেন যখন তারা বিভিন্ন ধরনের শব্দের সংস্পর্শে এসেছিল। তারা দেখতে পেলেন যে শব্দের উপস্থিতিতে স্টোমাটাগুলির কার্যকলাপ পরিবর্তিত হয়েছিল।
আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে যে গাছগুলি বাতাসের শব্দের মাত্রা পরিবর্তনের প্রতি সংবেদনশীল। এই গবেষণায়, বিজ্ঞানীরা গাছের বৃদ্ধি এবং বিকাশের উপর বাতাসের শব্দের মাত্রার প্রভাব পরিমাপ করেছিলেন। তারা দেখতে পেলেন যে শব্দের মাত্রা বেশি হলে গাছের বৃদ্ধি এবং বিকাশ কমে যায়।
এই গবেষণাগুলি থেকে বোঝা যায় যে গাছগুলি শব্দ শোনাতে সক্ষম এবং শব্দ তাদের বৃদ্ধি এবং বিকাশকে প্রভাবিত করতে পারে। তবে,গাছগুলি শব্দকে কীভাবে উপলব্ধি করে এবং এর প্রতিক্রিয়ায় কী করে সে সম্পর্কে আরও গবেষণা করা প্রয়োজন।
গাছগুলি শব্দ শুনতে পারে কিনা তা নিয়ে কিছু লোকের সন্দেহ রয়েছে। তারা যুক্তি দেয় যে গাছের কোনও শ্রবণ অঙ্গ নেই, তাই তারা শব্দ শুনতে পারে না। তবে, উপরে উল্লিখিত গবেষণাগুলি দেখায় যে গাছগুলি শব্দের প্রতি সংবেদনশীল এবং তারা শব্দের উপস্থিতিতে তাদের আচরণ পরিবর্তন করতে পারে।
গাছগুলি শব্দ শুনতে পারে কিনা তা নির্বিশেষে, গাছের সাথে কথা বলা এবং গান গাওয়া একটি ভাল ধারণা হতে পারে। এটি গাছগুলিকে আরও স্বাস্থ্যকর এবং সুখী হতে সাহায্য করতে পারে।