গোপনাঙ্গ শরীরের এমন একটি অংশ যা সব সময়েই পোশাকে আবৃত থাকে৷ কিন্ত তার পরও অনেক সময়েই এই অঙ্গ দেহের অন্যান্য অংশের তুলনায় বেশি পিগমেন্টেশনের শিকার হয়৷ মহিলাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়৷ একাধিক কারণ এর জন্য দায়ী৷
১। অতিরিক্ত টাইট পোশাক ও অন্তর্বাস পরলে ঘর্ষণের কারণে গোপনাঙ্গে পিগমেন্টেশন হতে পারে৷ ত্বক তার স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফেলে৷ হাঁটাচলা, শরীরচর্চা, এমনকি যৌনসঙ্গমের কারণেও এই ঘর্ষণজনিত সমস্যা দেখা দেয়৷ ফলে যোনির আশপাশ কালো হয়ে যায়।
২। হরমোনাল পরিবর্তনের জন্যও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে৷ বয়ঃসন্ধির সময় ও এর পর থেকে ইস্ট্রজেন হরমোনের মাত্রা শরীরে বেড়ে যায়৷ তার ফলে যৌনাঙ্গর রং পরিবর্তন হতে পারে৷ আবার বয়স ৪০ পেরিয়ে গেলেও হরমোনজমিত সমস্যা দেখা দিতে পারে৷
৩। মহিলাদের ক্ষেত্রে অনেক সময়েই ভ্যাজাইনাল ইনফেকশন দেখা দেয়৷ এই সংক্রমণের জেরেও কালো ছোপ দেখা দেয়৷
৪। বয়সজনিত কারণে শরীরের অন্য অংশের ত্বকেও কালো ছোপ দেখা দেয়৷ সেই একই কারণে গোপনাঙ্গেও কালো হয়ে যেতে পারে৷
৫। পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোমও গোপানঙ্গের বর্ণ পরিবর্তনের কারণ হতে পারে৷ এই অসুখের ফলে শরীরে মেল হরমোন বা অ্যান্ড্রোজেন বেড়ে যায়৷ এর ফলে গোপনাঙ্গের রং পরিবর্তন হয়ে যায়৷
মহিলাদের বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে মহিলাদের গোপন অঙ্গের লজ্জাস্থানের রঙ কালো হয়ে যায়। এছাড়াও মেয়েদের গোপন অঙ্গের কালো দাগ আরো অন্যান্য কতগুলো কারণের জন্যেও হতে পারে। যেমন:
* বয়স বাড়ার সাথে সাথে মহিলাদের শরীরে হরমোনের তারতম্য ঘটে, তাই নারীদের শরীরে হওয়া হরমোনাল ডিসব্যালেন্স গোপন অঙ্গে কালো দাগ হওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে।
* কিছু কিছু মহিলার জিনগত বৈশিষ্টের জন্যেও লজ্জাস্থানে কালো দাগ দেখতে পাওয়া যায়।
* মেয়েদের প্রতিমাসে মাসিক ধর্মের সময় যথেষ্ট পরিমানে রক্ত ক্ষরণ হয়। সেক্ষেত্রে মহিলাদের শরীরে ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতির কারণে গোপন অঙ্গে কালো দাগ হয়ে যেতে পারে।
* অনেক মহিলারা গোপনাঙ্গের অবাঞ্ছিত লোম হটানোর জন্য হেয়ার রিমুভাল ক্রিম ব্যবহার করেন। আর প্রতিটি হেয়ার রিমুভাল ক্রিমে,এমোনিয়া,স্পিরিটের মত রাসায়নিক যৌগ মেলানো থাকে,যা গোপন অঙ্গের রং কালো করে দেয়।
* মেয়েদের ওজন বৃদ্ধির কারণে শরীরে চামড়া স্ফীত হয় যা মহিলাদের গোপন অঙ্গে কালো দাগের সৃষ্টি করে।
* মানুষ অসুখে পড়ে নানান ধরণের ওষুধ খায়, অনেক সময় ওষুধের পার্শ্বপতিক্রিয়ার কারণে মহিলাদের লজ্জাস্থানে কালো দাগ হয়ে যায়।
যোনি ফর্সা করার ঘরোয়া উপায়:
আপনারা জানেন পাতিলেবুতে ভিটামিন সি এবং সাইট্রিক এসিড থাকে,তাই পাতিলেবুর রস নিচড়ে নিয়ে গোপনাঙ্গের আশেপাশের কালো চামড়ার উপর লাগালে, লেবুর রস যৌনির কালো দাগ দূর করতে সহায়তা করে।
এছাড়াও পাতিলেবুর রসের সাথে গোলাপের শুকনো পাপড়ি এবং গ্লিসারিন মিক্স করে গোপনাঙ্গের চামড়ার উপর লাগালে লজ্জাস্থানের ত্বক নরম ও মুলায়ম হয়।
পুরো রেসিপি তৈরি করার জন্যে ১/২ চামচ লেবুর রস,০১ চামচ গোলাপ জল এবং ০১ চামচ গ্লিসারিন এর দরকার পড়বে।
রেসিপি বানানোর জন্যে আপনাকে একটি বাটিতে গোলাপ জল এবং গ্লিসারিনটাকে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণটি তৈরি হয়ে গেলে তার মধ্যে লেবুর রস মিলিয়ে দিতে হবে।
এরপর আপনার লজ্জাস্থানটি ভালোভাবে পরিষ্কার অথাৎ লোমহীন করে নেওয়ার পর তুলোর বল দিয়ে লেবু,গোলাপ জল এবং গ্লিসারিনের মিশ্রনে তৈরী করা রেসিপিটা আপনার লজ্জাস্থানের সংক্রামিত কালো অংশে প্রলেপ হিসাবে ভালোভাবে লাগান। প্রলেপ লাগানো হয়ে যাওয়ার পর পুরো ২০ থেকে ৩০ মিনিট রেখে দিন তারপর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
এইভাবে আপনাকে প্রতিদিন অন্তত ০২ বার, অন্তত ২০ থেকে ২৫ দিন লাগাতে হবে, তাহলে দেখতে পাবেন আপনার লজ্জাস্থানে হওয়া কালো দাগ গুলো ধীরে ধীরে ফর্সা হয়ে যাচ্ছে।
বিস্তারিত জানতে নিচের পোস্টটি পড়ুন :
যোনি ফর্সা করার উপায়