কক্সবাজারে প্রতিবছর ঘূর্ণিঝড় দেখা যায় প্রধানত দুটি কারণে:
-
কক্সবাজারের অবস্থান: কক্সবাজার বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত। এই অঞ্চলটি উত্তর-পূর্ব ভারত মহাসাগরের একটি ঘূর্ণিঝড়ের উৎপত্তিস্থল। এই অঞ্চলে বাতাসের তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতা বেশি থাকে, যা ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টির জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে।
-
বাংলাদেশের ভূপ্রকৃতি: বাংলাদেশ একটি সমতল ভূখণ্ড। এই ভূখণ্ড ঘূর্ণিঝড়ের পথকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে না। ফলে ঘূর্ণিঝড় সহজেই বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
কক্সবাজারে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব সাধারণত বেশ তীব্র হয়। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে প্রচণ্ড বাতাস, বৃষ্টি এবং জলোচ্ছ্বাস হয়। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। কক্সবাজারের জনজীবন এবং অর্থনীতিতে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব ব্যাপক।
কক্সবাজারে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কমাতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এই পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে:
-
ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস এবং সতর্কতা ব্যবস্থাপনা: আবহাওয়া অধিদপ্তর ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস দিয়ে থাকে। এই পূর্বাভাসের ভিত্তিতে সরকার জনসাধারণকে সতর্ক করে।
-
ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ: ঘূর্ণিঝড়ের সময় মানুষ আশ্রয় নিতে পারে এমন আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে।
-
ঘূর্ণিঝড়-প্রতিরোধী অবকাঠামো নির্মাণ: ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ঘূর্ণিঝড়-প্রতিরোধী অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে।
এই পদক্ষেপগুলোর ফলে কক্সবাজারে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কিছুটা কমেছে। তবে, ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকি কমাতে আরও বেশি পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।