হারাম উপার্জনকারী থেকে হাদিয়া নেয়ার ক্ষেত্রে ব্যাখ্যা রয়েছে।যথা:
১. হারাম উপার্জনকারীর পূর্ণ রোজগারই হারাম। আর লোকটি তার হারাম টাকা দিয়েই হাদিয়া তথা বৃত্তি দিচ্ছে।
২. লোকটির উপার্জন হালাল ও হারামের মাঝে সংমিশ্রিত। এ দুটি উপার্জিত অর্থ এমনভাবে সংমিশ্রিত যে, একটি অন্যটি থেকে পৃথক নয়। তবে এর মাঝে হারাম উপার্জন বেশি। আর লোকটি মিশ্রিত সে সম্পদ দিয়ে হাদিয়া তথা বৃত্তি দিচ্ছে।
৩. দাওয়াতকারীর হালাল উপার্জনও আছে, আবার হারাম উপার্জনও আছে। এ দুটি উপার্জিত অর্থ এমনভাবে সংমিশ্রিত যে, একটি অন্যটি থেকে পৃথক নয়। তবে তার হারাম উপার্জন কম। হালাল উপার্জন বেশি। আর লোকটি এ মিশ্রিত সম্পদ দিয়ে বৃত্তি দিচ্ছে।
৪. হারাম উপার্জনকারী হারাম উপার্জন দিয়ে বৃত্তি দিচ্ছে না। বরং কারো থেকে হালাল টাকা ধার করে বা কারো কাছ থেকে অর্থ নিয়ে বৃত্তি দিচ্ছে।
প্রথমোক্ত দুই সূরতে উক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান থেকে বৃত্তি নেয়া জায়েজ নয়। আর তৃতীয় সুরতে উক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান থেকে বৃত্তি নেয়া জায়েজ হলেও, না নেয়া উত্তম। আর চতুর্থ সুরতে উক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান থেকে বৃত্তি নেয়া জায়েজ আছে।