এমতাবস্থায় যখন কোনো নামাজ যেমন- ফজরের কাজা করবে তবে এভাবে নিয়ত করবে যে, আমার উপর যে পরিমাণ ফজরের নামাজ বাকি রয়েছে সেগুলোর মধ্য থেকে প্রথম ফজর নামাজের কাজা পড়ছি অথবা শেষ ফজরের কাজা পড়ছি । এমনিভাবে যে নামাজের কাজা পড়বে, তার নিয়তও এ নিয়মে করা উচিত। এবং যতদিন পরিপূর্ণভাবে এ দৃঢ়বিশ্বাস না জন্মাবে যে, আমার জীবনের সবগুলো কাজা নামাজ আদায় হয়ে গেছে, ততদিন পর্যন্ত এভাবে নিজের কাজা হয়ে যাওয়া নামাজগুলো আদায় করতে থাকবে। অনেক বছরের নামাজ হয়ে থাকলে, কমপক্ষে এভাবে নিজের প্রবল ধারণা অনুযায়ী একটা পরিমাণ নির্ধারণ করে নেবে যে, আমার ১০ বছর, ১৫ বছর বা ২০ বা ৩০ বছরের নামাজ কাজা হয়ে গেছে। সে হিসেবে সে পরিমাণ নামাজ সবগুলো হিসাব করে কাজা আদায় করে নেবে। মোটকথা নিজের জীবনের কাজা নামাজগুলো আদায় করতেই হবে। বাদ দেয়া যাবে না।