ইমামের সাথে নামাজের শেষ পর্যন্ত শরিক থাকবে। যখন ইমাম সাহেব সালাম ফেরাবেন, তখন ইমামের সাথে সে সালাম ফেরাবে না; বরং দাঁড়িয়ে যাবে এবং ছুটে যাওয়া রাকায়াতগুলো এমনভাবে আদায় করবে যে, যেন সে এখনি নামাজ শুরু করলো। যেমন - তাঁর শুধু এক রাকায়াত বাদ পড়ে থাকলে ইমামের সালাম ফেরানোর পর সে দাঁড়িয়ে এভাবে পড়বে যে, প্রথমে ছানা, আউযুবিল্লাহ্ ও বিসমিল্লাহ্ পড়ে সূরা ফাতিহা পড়বে, অতঃপর অন্য কোনো সূরা মিলাবে। তারপর যথারীতি রাকায়াত পূর্ণ করে কা'দাহ (আত্তাহিয়্যাতু'র বৈঠক) করবে, তারপর আত্তাহিয়্যাতু, দুরূদ শরীফ ও দুয়ায়ে মাসূরা পাঠ করে সালাম ফেরাবে। এ পদ্ধতি প্রত্যেক নামাজের বাদ পড়ে যাওয়া রাকায়াত পূরণ করার।
আর যখন কারও যোহর, আসর, এশা কিংবা ফজরের দু'রাকায়াত বাদ পড়ে যাবে, তখন প্রথম রাকায়াতে ছানা, আউজুবিল্লাহ্, বিসমিল্লাহ্ পড়ে সূরা ফাতিহা ও অন্য সূরা এবং দ্বিতীয় রাকায়াতে সূরা ফাতিহা ও অন্য সূরা পড়ে রূকু সিজদাহ্ ও কা'দাহ্ করে সালাম ফেরাবে। আর যদি যোহর বা আসর কিংবা এশার শুধু এক রাকায়াত ইমামের সাথে পায়, তবে অবশিষ্ট তিন রাকায়াত এভাবে পড়বে যে, প্রথম রাকায়াত সূরা ফাতিহা অন্য সূরাসহ পড়ে কা'দাহ্ করবে, তারপর এক রাকায়াত সূরা ফাতিহা অন্য সূরাসহ পড়বে। তারপর অবশিষ্ট এক রাকায়াতে শুধু ফাতেহা পড়ে রাকায়াত পূর্ণ করবে এবং সালাম ফিরাবে। আর যদি মাগরিবের নামাজের এক রাকায়াত ইমামের সাথে পায়, তবে এক রাকায়াতে সূরা ফাতিহা ও অন্য সূরা পড়ে কা'দাহ্ করবে। তারপর দ্বিতীয় রাকায়াতেও সূরা ফাতিহা অন্য সূরা সহ পড়ে কা'দাহ্ করে সালাম ফিরাবে। মোট কথা, যখন নামাজের শুধু এক রাকায়াত ইমামের সাথে পাবে, তখন নিজের নামাজে এক রাকায়াতের পর কা'দাহ্ করা উচিত। চাই যে কোন ওয়াক্তের নামাজই হোক।