হ্যাঁ! মৃত ব্যক্তির নিকট দৈহিক ও আর্থিক ইবাদতের সওয়াব পৌঁছতে পারে। অর্থাৎ মৃত ব্যক্তির জীবিত সন্তান-সন্ততি, ওয়ারিশ ও আত্মীয়স্বজনরা যদি কোন সৎকাজ করে, যেমন - কুরআন শরীফ তেলাওয়াত করে, দরূদ শরীফ পাঠ করে, আল্লাহর রাহে সাদকা-খয়রাত করে, কোনো ক্ষুধার্তকে খাবার খাওয়ায়, তবে এসব কাজের সওয়াব আল্লাহর তরফ থেকে তারা (মৃত ব্যক্তিরা) পাবে। আবার আল্লাহ তায়ালা নিজের রহমতে এই অধিকারও দিয়েছেন যে, যদি এমন সৎকর্মসম্পাদনকারী নিজের সওয়াব কোন মৃত ব্যক্তিকে পৌঁছাতে চায়, তাহলে আল্লাহ তা'আলার কাছে এই বলে দোয়া করবে যে, হে আল্লাহ! এ কাজের সওয়াব আমি অমুক ব্যক্তিকে দান করলাম, তখন আল্লাহ তা'য়ালা সে মৃত ব্যক্তিকে সওয়াব পৌঁছে দেন। এ জাতীয় সওয়াব পৌঁছানোর জন্য কোন বিশেষ বস্তুসামগ্রী কিংবা কোন বিশেষ সময় অথবা বিশেষ ব্যবস্থা নিজের পক্ষ থেকে নির্ধারিত না করা উচিত। বরং যখন যা ব্যবস্থা হয়, তাই আল্লাহর ওয়াস্তে কোন উপযুক্ত ব্যক্তিকে দিয়ে তার সওয়াব মৃত ব্যক্তিকে দান করা উচিত। আনুষ্ঠানিকতা বা রেওয়াজ রুসুমের অনুবর্তিতা কিংবা লোক দেখানো এবং নাম-ধামের জন্য বিরাট বিরাট দাওয়াত, জেয়াফতের আয়োজন করা কিংবা নিজের ক্ষমতার অতিরিক্ত ঋণ ধার করে রেওয়াজ পূর্ণ করা খুবই খারাপ জিনিস।