সূরা ফাতিহা কুরআনুল কারিমের প্রথম সূরা। এটিকে সূরাতুল হামদ, উম্মুল কুরআন, ফাতিহাতুল কিতাব, আসসাবউল মাসানি ইত্যাদি নামেও অভিহিত করা হয়। সূরা ফাতিহার ফজিলত সম্পর্কে বিভিন্ন হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। কিছু উল্লেখযোগ্য হাদিস হল:
-
হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি সূরা ফাতিহা পাঠ করবে, তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খুলে দেওয়া হবে এবং সে যেকোনো দরজা দিয়ে ইচ্ছা প্রবেশ করতে পারবে।” (তিরমিজি, হাদিস: ২৮৪৪)
-
হযরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি সূরা ফাতিহা পাঠ করবে, তার নামাজ পূর্ণ হয়।” (বুখারি, হাদিস: ৭৫৬)
-
হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি সূরা ফাতিহা পাঠ করবে, তার জন্য আল্লাহ তাআলা ১০০০ নেকী লিখে দেবেন এবং ১০০০ গুনাহ মাফ করে দেবেন।” (তিরমিজি, হাদিস: ২৮৪২)
এই হাদিসগুলো থেকে বুঝা যায় যে, সূরা ফাতিহা পাঠের ফজিলত অনেক। এটি পাঠ করলে জান্নাতের আটটি দরজা খুলে দেওয়া হয়,নামাজ পূর্ণ হয় এবং ১০০০ নেকী ও ১০০০ গুনাহ মাফ হয়।
এছাড়াও, সূরা ফাতিহা পাঠের ফলে নিম্নলিখিত ফজিলতগুলো রয়েছে বলে মনে করা হয়:
-
এটি পাঠ করলে ঈমান ও তাওহিদের উপর দৃঢ়তা পাওয়া যায়।
-
এটি পাঠ করলে পরকালের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা যায়।
-
এটি পাঠ করলে মানবিক গুণাবলী ও দয়া-মায়া বৃদ্ধি পায়।
সুতরাং, সূরা ফাতিহা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলতপূর্ণ সূরা। এটি প্রতিদিন পাঠ করা উচিত।
এখানে সূরা ফাতিহার কিছু নির্দিষ্ট ফজিলত সম্পর্কে আরও বিস্তারিত আলোচনা করা হল:
-
নামাজের জন্য আবশ্যক: সূরা ফাতিহা প্রত্যেক নামাজের প্রত্যেক রাকাতে পড়া আবশ্যক। কারণ, নামাজ সঠিকভাবে আদায় করার জন্য সূরা ফাতিহা পাঠ করা অপরিহার্য।
-
আল্লাহর কাছে প্রার্থনা: সূরা ফাতিহায় আল্লাহর কাছে বিভিন্ন প্রার্থনা করা হয়েছে। এই সূরাটি পাঠ করলে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা কবুল হয়।
-
ইমান ও তাওহিদ বৃদ্ধি: সূরা ফাতিহায় আল্লাহর একত্ববাদ ও তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এই সূরাটি পাঠ করলে ইমান ও তাওহিদ বৃদ্ধি পায়।
-
মানবিক গুণাবলী বৃদ্ধি: সূরা ফাতিহায় মানবিক গুণাবলী বৃদ্ধির জন্য অনেক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এই সূরাটি পাঠ করলে মানবিক গুণাবলী বৃদ্ধি পায়।