না, অনুমতি নেয়ার প্রয়োজন নেই৷
এ বিষয়ে মহানবী সা: বলেছেন “ স্বামী যখন তাঁর স্ত্রীকে দৈহিক প্রয়োজনে আহবান করবে, সে যেন স্বামীর কাছে অত্যন্ত দ্রুত চলে আসে । এমনকি সে রান্নাঘরে রুটি পাকানোর কাজে ব্যস্ত থাকলেও ।” (সুনানে তিরমিযি ১১৬০, ছহীহুল জামে ৫৩৪)
মহানবী সা: বলেছেন “ যে স্ত্রী স্বামীর ডাকে সাঁড়া না দেয় এবং স্বামী রাগান্বিত অবস্হায় সারারাত একাকী কাটায়, সে স্ত্রীর উপর ফিরিশ্তারা সকাল পর্যন্ত লা’নত দিতে থাকে ।” (ছহীহুল বোখারি ৫১৯৩, ছহীহ মুসলিম ১৪৩৬, সুনানে আবু দাউদ ২১৪১, নাসাঈ)
*** মহানবী সা: বলেছেন “ তিন ব্যক্তির নামাজ তাঁদের মাথা অতিক্রম করেনা অর্থাৎ কবুল হয়না । তন্মধ্যে একজন হলেন অবাধ্য স্ত্রী , যে স্বামীর ডাকে সাঁড়া দেয়না এবং স্বামী রাগান্বিত অবস্হায় ঘুমায় ।” (তাবরানী ১০৮৬, সুনানে তিরমিযি ৩৬০, হাকেম, সিলসিলা ছহীহা ২৮৮)
*** মহানবী সা: বলেছেন “ স্বামীর অনুমতি ব্যতিরেকে নফল রোজা রাখা যাবেনা এবং স্বামীর অপছন্দ ব্যক্তিকে ঘরে প্রবেশ করানো যাবেনা ।” (ছহীহুল বোখারি ৫১৯৫, ছহীহ মুসলিম ২৪১৭, দারেমী ১৭২০, সিলসিলা আহাদিসুস ছহীহা ৩৯৫)
*** মহানবী সা: বলেছেন “ পরকালে আল্লাহপাক স্বামীর প্রতি অকৃতজ্ঞ স্ত্রীর দিকে তাকাবেন না ।” (নাসাঈ কুবরা ৯১৩৫, বাযযার ২৩৪৯, তাবরানী, হাকেম ২৭৭১, বাইহাক্বী ১৪৪৯৭, সিলসিলাহ ছহীহা ২৮৯)
*** মহানবী সা: বলেছেন “ কোন স্ত্রী যদি তাঁর স্বামীর অধিকার সম্পর্কে জানতো, দিনে বা রাতের খাবার শেষ করে স্বামীর পাশে সারাক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতো (ছহীহুল জামে ৫২৫৯, তাবরানী)
*** মহানবী সা: বলেছেন “ স্বামীর অবাধ্য স্ত্রীর জন্য জান্নাত হারাম ।” (মুসনাদে আহমদ ১৯০০৩, নাসাঈ, হাকিম, বায়হাক্বী )
*** মহানবী সা: বলেছেন “ যে স্ত্রী তাঁর স্বামীকে কষ্ট দেয়, জান্নাতের হুরেরা বলেন “ তোমার স্বামীকে কষ্ট দিওনা । তিনি তোমার কাছে সাময়িক মেহমান মাত্র । তোমাকে ছেড়ে অচিরেই আমাদের কাছে ফিরে আসবে ।” (তিরমিযি ১১৭৪, ইব্নে মাজাহ ২০১৪)
*** মা- বাবা সহ সকলের মৃত্যুতে শোক পালন হচ্ছে মাত্র ৩ দিন পর্যন্ত । পক্ষান্তরে স্বামীর মৃত্যুতে শোক পালন করতে হবে ৪ মাস ১০ দিন । (সূরা আল বাক্বারা ২৩৪, ছহীহুল বোখারি ১২৮০)