232 বার দেখা হয়েছে
"গদ্য" বিভাগে করেছেন

1 টি উত্তর

1 টি পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন
ছন্দোবদ্ধ ভাষায় অর্থাৎ পদ্যে যা লিখিত হয় তাকেই আমরা ‘কবিতা’ বলে থাকি। কবিতার প্রধান দুটি রূপভেদ হলো ‘মহাকাব্য ও গীতিকবিতা’। বাংলা ভাষায় মহাকাব্যের চূড়ান্ত সফল রূপ প্রকাশ করেছেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত তাঁর ‘মেঘনাদবধ’ কাব্যে। মহাকাব্য রচিত হয় যুদ্ধবিগ্রহের কোনো কাহিনি অবলম্বন করে। ভারত উপমহাদেশের সর্বপ্রাচীন দুটি কাহিনির একটি হলো ‘রামায়ণ’ আর অন্যটি ‘মহাভারত’।

‘মহাভারত’ সম্পর্কে বলা হয়ে থাকে ‘যা নেই ভারতে তা নেই ভারতে’ এর অর্থ : ‘মহাভারত’ গ্রন্থে যা নেই তা ভারতবর্ষেও নেই অর্থাৎ ভারতবর্ষে ঘটেনি বা ঘটতে পারে না। ‘মহাভারত’ আয়তনে বিশাল। ‘রামায়ণ’ তার তুলনায় ক্ষুদ্র। কাহিনি হলো: পত্নী সীতাকে নিয়ে যুবরাজ রামচন্দ্রের বনবাস। তাঁদের অনুগামী হয় কণিষ্ঠ ভ্রাতা লক্ষ্মণ। বনবাসে থাকার সময়ে লঙ্কা দ্বীপের রাজা রাবণ তার বোন শূর্পনখার সম্মান রক্ষার জন্য সীতাকে হরণ করে রথে চড়িয়ে আকাশপথে উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে লঙ্কায় তার বাগান বাড়িতে বন্দী করে রাখে। সীতাকে উদ্ধারের জন্য রাম ও রাবণের মধ্যে যে যুদ্ধ হয় সেটিই রামায়ণকথা। অর্থাৎ এককথায় মহাকাব্য হলো অতিশয় দীর্ঘ কাহিনিকবিতা। মহাকাব্যের মূল লক্ষ্য গল্প বলা তবে তাকে গদ্যে না লিখে পদ্যে লিখতে হয়।

এর বাইরে আছে সংক্ষিপ্ত আকারের কবিতা যা ‘গীতিকবিতা’ হিসেবে পরিচিত। ঔপন্যাসিক বঙ্কিমচন্দ্র কিছু গান ও কবিতা রচনা করলেও তা তাঁর প্রধান সৃষ্টিকর্ম নয়। তিনি বলেছিলেন, ‘বক্তার ভাবোচ্ছ্বাসের পরিস্ফূটন মাত্র যাহার উদ্দেশ্য সেই কাব্যই গীতিকাব্য।’ এই মন্তব্য সর্বাংশে সত্য। গীতিকবিতা কবির অনুভূতির প্রকাশ হওয়ায় সাধারণত দীর্ঘকায় হয় না। কিন্তু ক্ষেত্রবিশেষে যদি দীর্ঘও হয় তাতেও অসুবিধে নেই। যদি কবির মনের পূর্ণ অভিব্যক্তি সেখানে প্রকাশিত হয়ে থাকে। বাংলাসাহিত্যে গীতিকবিতার আদি নিদর্শন বৈষ্ণব কবিতাবলি। যদি গীতিকবিতাকে শ্রেণিবিভাজনের অন্তর্গত করতেই হয় তাহলে এরকম শ্রেণিবিভাগ করা যুক্তিযুক্ত বলে মনে হয়। যেমন :

১. ভক্তিমূলক কবিতা (রবীন্দ্রনাথ, অতুলপ্রসাদ, রামপ্রসাদ, রজনীকান্তের রচনা )

২. স্বদেশপ্রীতিমূলক (বঙ্কিমচন্দ্রের ‘বন্দে মাতরম’, রবীন্দ্রনাথের অসংখ্য কবিতা-গান)

৩. প্রেমমূলক

৪. প্রকৃতিবিষয়ক

৫. চিন্তামূলক বা দর্শনাশ্রয়ী কবিতা

৬. শোকাগাথা (শোক আশ্রয় করে লিখিত কবিতাও এর সমপর্যায়ভুক্ত)

বাংলা কবিতায় বিশেষ দুটি ধারার জনক কাজী নজরুল ইসলাম ও জসীমউদদীন। প্রথম জন আমাদের সাহিত্যে ‘বিদ্রোহী কবি’ ও দ্বিতীয় জন ‘পল্লিকবি’ হিসেবে স্থায়ী আসন লাভ করেছেন। নজরুলের কবিতায় যে উদ্দীপ্ত কণ্ঠস্বর ও দৃপ্তভাবের দেখা মেলে তা পূর্বে বাংলাকাব্যে ছিল না। জসীমউদদীনের ‘নকশীকাঁ থার মাঠ’ ও ‘সোজনবাদিয়ার ঘাট’ জাতীয় কোনো কাব্য পূর্বে কেউ রচনা করননি এবং এক্ষেত্রে তাঁর অনুসারীও কেউ নেই।

এরকম আরও কিছু প্রশ্ন

1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
5 জুলাই, 2021 "মেডিসিন" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন MD JOSIM UDDIN
1 টি উত্তর
21 জুন, 2020 "নারী স্বাস্থ্য" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন অজ্ঞাতকুলশীল
1 টি উত্তর
2 মে, 2023 "নারী স্বাস্থ্য" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন অজ্ঞাতকুলশীল
0 টি উত্তর
6 সেপ্টেম্বর, 2023 "ফতোয়া" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Minka

34,042 টি প্রশ্ন

32,997 টি উত্তর

1,575 টি মন্তব্য

3,211 জন সদস্য

Ask Answers সাইটে আপনাকে সুস্বাগতম! এখানে আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং অন্যদের প্রশ্নে উত্তর প্রদান করতে পারবেন ৷ আর অনলাইনে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য উন্মুক্ত তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার কাজে অবদান রাখতে পারবেন ৷
23 জন অনলাইনে আছেন
0 জন সদস্য, 23 জন অতিথি
আজকে ভিজিট : 41902
গতকাল ভিজিট : 59165
সর্বমোট ভিজিট : 42573974
  1. MuntasirMahmud

    277 পয়েন্ট

    55 টি উত্তর

    2 টি গ্রশ্ন

  2. Limon54

    100 পয়েন্ট

    19 টি উত্তর

    5 টি গ্রশ্ন

  3. TeddyAhsan

    71 পয়েন্ট

    4 টি উত্তর

    1 টি গ্রশ্ন

  4. Kuddus

    70 পয়েন্ট

    14 টি উত্তর

    0 টি গ্রশ্ন

  5. TAKRIMISLAM

    68 পয়েন্ট

    0 টি উত্তর

    18 টি গ্রশ্ন

এখানে প্রকাশিত সকল প্রশ্ন ও উত্তরের দায়ভার কেবল সংশ্লিষ্ট প্রশ্নকর্তা ও উত্তর দানকারীর৷ কোন প্রকার আইনি সমস্যা Ask Answers কর্তৃপক্ষ বহন করবে না৷
আজ বঙ্গাব্দ৷
...