2,400 বার দেখা হয়েছে
"গদ্য" বিভাগে করেছেন
করেছেন
বিএম নিলে আমি কি ধরনের চাকরি করতে পারব 

2 উত্তর

1 টি পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন
যে লাইব্রেরির বইপুস্তক ব্যক্তি তার নিজস্ব প্রয়োজনে বা ব্যক্তিগতকাজে ব্যবহার করে তাকে ব্যক্তিগত লাইব্রেরি বলে। আর যে লাইব্রেরি পারিবারিক কাজের জন্য ব্যবহার করা হয় তাকে পারিবারিক লাইব্রেরি বলে।মানুষের বই পড়ার আগ্রহ থেকেই গ্রন্থাগারের উৎপত্তি। গ্রন্থাগারের ইতিহাস বেশ পুরোনো। প্রথম দিকে মানুষ নিজের গৃহের কোণে, মসজিদ, মন্দির, গীর্জা কিংবা উপাসনালয়ে বা রাজকীয় ভবনে গ্রন্থ সংরক্ষণ করা শুরু করে। ইতালির রোমে প্রথম সর্বজনীন গ্রন্থাগার স্থাপিত হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে পাঠ্য বইয়ের বাইরে যাওয়ার স্বাধীনতা শিক্ষার্থীদের নেই। এই পদ্ধতি তাকে স্বশিক্ষিত তো করেই না বরং স্বশিক্ষিত হওয়ার শক্তিটুকু পর্যন্ত নষ্ট করে দেয়। কিন্তুু গ্রন্থাগার সবার জন্য উন্মুক্ত এবং অবাধ। পাশাপাশি সব ধরণের গ্রন্থ থাকে এখানে।দেহের পুষ্টি যোগায় খাদ্য আর মনের পুষ্টি যোগায় বই। শরীর অসুস্থ হলে আরোগ্য লাভের জন্য যেমন প্রয়োজন হাসপাতালের। তেমনি মনের অসুস্থতা দূর করার জন্য প্রয়োজন লাইব্রেরি বা গ্রন্থাগারের। তাই বই হয়ে উঠেছে সভ্য সমাজের প্রতিটি মানুষের নিত্য সঙ্গী।সমাজ হলো কিছু মানুষের মনের অবস্থা বা গুনবিশেষ। এখানে মনকে যে শাসন করবে বা সঠিক পথে পরিচালনা করবে সে হলো আমাদের জ্ঞান। আমরা সবাই জানি জ্ঞান থাকে বইয়ে। আর সেই বইগুলি কিন্তুু থাকে গ্রন্থাগারে। জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ গঠন করা খুব সহজ কাজ নয়।কিন্তুু একবার যদি তা করা যায়। তবে সে সমাজের মতো সমৃদ্ধ, উন্নত এবং সুখী সমাজ আর একটাও পাওয়া যাবে না।বই মানুষকে কখনো বিমুখ করে না। যে ব্যক্তি যা চায় বই কিন্তুু তাকে তাই দেয়। তাই ভালো কিছু গ্রহণ এবং মন্দ বা খারাপ বিষয় বর্জন করার মতো বুদ্ধিটাও আসে বই পাঠের মধ্য দিয়ে। বলা হয়ে থাকে যে, একটি দেশকে যদি তুমি ধ্বংস করতে চাও তাহলে সে দেশের লাইব্রেরি বা গ্রন্থাগারগুলিকে ধ্বংস করে দাও। আর এই কথাটি যে কতটুকু সত্য তা অনুন্নত বা উন্নয়নশীল দেশগুলোর দিকে তাকালেই ভালোভাবে বুঝা যায়।গ্রন্থাগার হচ্ছে একটি জাতির অগ্রগতির প্রতীক। সমাজ,সভ্যতা, সংস্কৃতি ও কৃষ্টির বাহন। অতীতের সাথে বর্তমানের, বর্তমানের সাথে ভবিষ্যতের যোগসূত্র স্থাপন করে গ্রন্থাগার। অনেকের মতে জ্ঞান অর্জনের দুটি উপায় রয়েছে। একটি হলো ভ্রমণ করে আর অপরটি হলো বই পড়ে।ভ্রমণ করে জ্ঞান অর্জন করতে হলে বিত্তশালী হতে হয়। কারণ ভ্রমন করতে প্রচুর টাকা পয়সার প্রয়োজন হয়। তাই আমরা জ্ঞান অর্জনের সহজ মাধ্যম হিসাবে বইকে বেছে নিতে পারি।আমাদের এই সমাজে যে হারে সন্ত্রাস, অন্যায়, অবিচার এবং মাদকের ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে তার মূলে রয়েছে গ্রন্থাগার বিমুখতা। বর্তমানে আমাদের যুব সমাজ যে ভাবে অপসংস্কৃতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। এ থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় হলো যুবসমাজ কে গ্রন্থাগার মুখী করে তোলা।একটি জাতির চিন্তা-চেতনা কেমন হয় তা নির্ভর করে সেই জাতির জ্ঞান চর্চার উপর। যে কোন জাতির নীতি – নৈতিকতা, সহনশীলতা, আদর্শ ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে প্রতিষ্ঠা করতে সর্বাগ্রে প্রয়োজন সুস্থ জীবনবোধ। আর এটি অর্জন একমাত্র সম্ভব বই পাঠের মাধ্যমে। তাই সাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক প্রমথ চৌধুরী বলেছিলেন, গ্রন্থগারের প্রয়োজনীয়তা স্কুল কলেজের চেয়ে বেশি। কারণ এটি একটি গতিশীল প্রতিষ্ঠান এবং গ্রন্থাগার মানুষের মধ্যে সামাজিকতা, নৈতিকতা, অধিকার ও কর্তব্যবোধ, পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতা এবং কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু মানসিকতা গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বই পড়ে আমরা যদি জ্ঞানের অভাব দূর করতে পারি তাহলে সম্পদের অভাব ও আমাদের বেশি দিন থাকবে না। সে জন্য আমাদেরকে নিয়মিত পাঠক হতে হবে। বিজ্ঞান মনস্ক জাতি হতে হবে। গ্রন্থাগারে গিয়ে গ্রন্থ পাঠের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।কবি ও লেখক জসীমউদ্দীনের মতে, বই আপনাকে অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সকল কালে নিয়ে যেতে পারে। যে দেশে কোনদিন কিংবা কখনো যাওয়ার সম্ভাবনা নেই বইয়ের রথে চেপে অনায়াসে আপনি সেই দেশে যেতে পারেন।
0 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন
বই পড়া ছাড়া নিজেকে জানা বা জ্ঞান অর্জন করার অন্য কোন উপায় নেই। মনকে সতেজ ও প্রসারিত করে জীবনকে সুন্দররূপে গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজন জ্ঞান। আর জ্ঞান অর্জনের জন্য পাঠচর্চা একান্ত আবশ্যক। ধর্মের র্চচা মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা ও গির্জার বাইরেও করা চলে। দর্শনের চর্চা গুহায়, নীতির চর্চা ঘরে এবং বিজ্ঞানের চর্চা জাদুঘরে রোগের চিকিৎসা হাসপাতালে হয়। কিন্তু মানুষের মানসিক উৎকর্ষতা, কাজকর্মে সচ্ছতা, সামাজিক দায়বদ্ধতা, উন্নত জীবনযাপন— সর্বোপরি নিজেকে জানার জন্য চাই লাইব্রেরি। কারণ লাইব্রেরিতে বিন্যস্ত থাকে মানবসভ্যতার হাজার বছরের ইতিহাস। প্রাচীন শিলালিপি থেকে আধুনিক লিপির গ্রন্থিক স্থান লাইব্রেরি। একটি লাইব্রেরি। মানব জীবনকে যেমন পাল্টে দেয় তেমনি আত্মার খোরাকও যোগায়। লাইব্রেরি হল শ্রেষ্ঠ আত্মীয়— যার সাথে সবসময় ভালো সম্পর্ক থাকে। লাইব্রেরি মনের হাসপাতাল। তাই লাইব্রেরির প্রয়োজনীয়তা হাসপাতালের চাইতে কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। দেহের পুষ্টির জন্য যেমন খাদ্যের প্রয়োজন তেমনি মনের স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন মানসিক খাদ্যের। মানসিক খাদ্য মানে বইপড়া আর বই পড়ার জন্য প্রয়োজন বই পড়ার ও সংগ্রহ রাখার ঘর অর্থাৎ লাইব্রেরি। আমাদের দেশে শিক্ষাব্যবস্থায় স্কুল- কলেজে শিক্ষার্থীদের সুনির্দিষ্ট সিলেবাসে গুটিকয়েক পাঠ্যপুস্তক পড়িয়ে শিক্ষকগণ তাঁদের দায়িত্ব সম্পন্ন করেন এবং ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষার প্রয়োজনে গুরুপ্রদত্ত কতিপয় নোট মুখস্থ করে তা পরীক্ষার খাতায় উদগীরণ করে সাফল্য লাভ করে। এতে শিক্ষার্থীরা প্রকৃত জ্ঞান অর্জনে ব্যর্থ হয়। শিক্ষার্থীদের পাঠের স্বাধীনতা ও স্বাধীন চিন্তার অবকাশ স্কুল- কলেজে নেই। মূলত শিক্ষার্থীদের পাঠের স্বাধীনতা ঘাটতি পূরণের জন্য স্বাধীনভাবে বই পড়া একান্ত প্রয়োজন। আর স্বাধীনভাবে বইপড়ার জন্য প্রয়োজন লাইব্রেরি। PurplePatch বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের যে অপূর্ণতা রয়েছে একমাত্র লাইব্রেরিই তা পূরণ করতে পারে। এ জন্য গ্রামে গ্রামে, নগরে নগরে লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করা অতীব জরুরি। শুধু শিক্ষার্থীরা নয়, লাইব্রেরির সান্নিধ্য সর্বস্তরে গতিশীলতা বহুগুণে বৃদ্ধি করে। লাইব্রেরি হলো গণমানুষের বিশ্ববিদ্যালয়। লাইব্রেরির প্রতিটি বই অতীতের অভিজ্ঞতা ও উপলিদ্ধ থেকে সঠিকপথ ও বিশুদ্ধ চিন্তার সাহায্যে জীবনের সঠিক পথ দেখিয়ে দেয়। বই পড়া মানে সভ্যতার শ্রেষ্ট ও মহা মানবদেরকে জানা এবং তাদের বর্নাঢ্য কর্মময় অতীতকে মনের চোখে দেখা। মনের দৃষ্টিশক্তির সবচেয়ে বড় সম্পদ— বিশুদ্ধ চিন্তার বিশুদ্ধ আত্মা। একথা সত্যি যে, মনের অন্ধত্বের চেয়ে বড় দুর্ভাগ্য জীবন আর কিছু নেই। একজন অন্ধলোক যেমন প্রকৃতির সৌন্দর্য্য দেখতে পায়না তেমনি বই ছাড়া চিরজীবী মহৎ ব্যক্তিদের সান্নিধ্য লাভ করা যায় না। কারণ যুগযুগ ধরে সফল মানুষের সর্বোত্তম চিন্তা ভাবনা, ধ্যানধারণা বইয়ে সংগৃহীত হয়ে আসছে। PurplePatch মূলত বই মানুষের মনকে বিকাশ, উজ্জীবন, উত্তোরণ পরিশীলিত ও মনকে উদার করে তুলে। আবার বই এক একটি মহৎ ব্যক্তির জীবনী অর্থাৎ মহৎ মানব জীবনের বাস্তব ঘটনার কাহিনী। মহৎ ব্যক্তির জীবনীতে ব্যক্তিত্বের বিশ্লেষণ, জন্ম, শিক্ষা, কাজ ও জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাসমুহ জানা যায়। তাই প্রত্যেক মানুষের ভিতরেই যে একজন ভাল মানুষ লুকিয়ে রয়েছে, তা বই পড়ে জানতে হবে। মানুষ হবার জন্য বই পড়তে হবে, সুন্দরকে জন্য বই পড়তে হবে। বই পড়ার গুরুত্ব মনীষীদের উক্তি থেকে সহজেই বোঝা যায়। স্পিনোজা বলেন, ‘ভাল খাদ্য বস্তু পেট ভরে কিন্তু ভাল বই মানুষের আত্মাকে পরিতৃপ্ত করে।’ দেকার্তে বলেন, ‘ভাল বই পড়া মানে গত শতাব্দীর সেরা মানুষদের সঙ্গে কথা বলা।’ ইউরোপকাঁপানো নেপোলিয়ান বলেন, ‘অন্তত ষাট হাজার বই সঙ্গে না থাকলে জীবন অচল।’ জন মেকলে বলেন, ‘প্রচুর বই নিয়ে গরিব হয়ে চিলেকোঠায় বসবাস করব তবু এমন রাজা হতে চাই না যে বই পড়তে ভালবাসে না।’ নর্মান মেলর বলেন, ‘আমি চাই যে বই পাঠরত অবস্থায় যেন আমার মৃত্যু হয়।’ আমাদের দেশে জাতীয় লাইব্রেরি, পাবলিক লাইব্রেরি, একাডেমিক লাইব্রেরি, বিশেষ লাইব্রেরি, ভ্রাম্যমান লাইব্রেরি, সামজিক লাইব্রেরি, ব্যক্তিগত লাইব্রেরিসহ বিভিন্ন লাইব্রেরির মাধ্যমে বই পড়ার সুযোগ রয়েছে। এসব লাইব্রেরি সামাজিক সংকটের উত্তরণ, শিক্ষার উন্নয়ন, চিন্তা চেতনার প্রতি ঐক্য, সংহতি ও আলোর পথ দেখিয়ে যাচ্ছেন। ব্যক্তি জীবনের মতো বইয়ের মূল্যও বড্ড বেশি বলে লাইব্রেরিকে উৎসব ও পাঠমুখী করা প্রয়োজন। যুবসমাজ ও তরুণ প্রজন্মকে মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধ থেকে মুক্ত রাখার জন্য বই পড়া ও খেলাধুলার বিকল্প নেই। তাই লাইব্রেরিকে পাঠমুখর করার লক্ষ্যে পাঠকদের জন্য চা-নাস্তার ব্যবস্থা, পাঠ অভিজ্ঞতা, অনুভূতি, উপলব্ধি ও মত বিনিময়ের লক্ষ্যে প্রতি সাপ্তাহে একটি করে ‘বইপাঠ-আড্ডা’র আয়োজন এবং প্রতি মাসে শিক্ষক ও সমাজের অলোকিত ব্যক্তিদের নিয়ে পাঠসমাবেশ ও বইপড়ুয়াদের মাঝে পুরস্কার প্রদানসহ বিভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে সর্বস্তরের মানুষকে বইমুখী করে তুলতে হবে। বইয়ের আলো ছাড়িয়ে পড়ুক সবখানে।

এরকম আরও কিছু প্রশ্ন

1 টি উত্তর
26 অক্টোবর, 2021 "গদ্য" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Md.Masud rana
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
16 সেপ্টেম্বর, 2020 "দৈনন্দিন দুয়া" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Shakil
1 টি উত্তর

34,310 টি প্রশ্ন

33,168 টি উত্তর

1,624 টি মন্তব্য

3,305 জন সদস্য

Ask Answers সাইটে আপনাকে সুস্বাগতম! এখানে আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং অন্যদের প্রশ্নে উত্তর প্রদান করতে পারবেন ৷ আর অনলাইনে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য উন্মুক্ত তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার কাজে অবদান রাখতে পারবেন ৷
30 জন অনলাইনে আছেন
0 জন সদস্য, 30 জন অতিথি
আজকে ভিজিট : 782
গতকাল ভিজিট : 16902
সর্বমোট ভিজিট : 48691658

    এ মাসে এখনও পয়েন্টগুরু নেই

    এখানে প্রকাশিত সকল প্রশ্ন ও উত্তরের দায়ভার কেবল সংশ্লিষ্ট প্রশ্নকর্তা ও উত্তর দানকারীর৷ কোন প্রকার আইনি সমস্যা Ask Answers কর্তৃপক্ষ বহন করবে না৷
    আজ বঙ্গাব্দ৷
    ...