Kali Linux একটি লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন যা ডেবিয়ানে গঠিত। এটিতে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় টুল বিল্টইন দেওয়া থাকে। এই টুল গুলো দিয়ে পেমেন্টেশন টেস্টিং, সিকিউরিটি রিসার্চ, কম্পিউটার ফরেন্সিকস এবং রিভারস ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি পরিচালনা করা সম্ভব। Offensive Security নামের একটি কোম্পানী কলি লিনাক্স ডেভেলপ করে। প্রকৃতপক্ষে, কালি লিনাক্স ব্যাকট্রেক লিনাক্সের একটি উন্নত সংস্করণ। যেখানে পূর্বের চাইতে আরও বেশি টুল যুক্ত করা হয়েছে। যার কারনে সাইবার সিকিউরিটি স্পেশালিস্ট ও হ্যাকারদের মধ্যে এই অপারেটিং সিস্টেম খুবই জনপ্রিয়।
কালি লিনাক্সের কাজ:
হাজার হাজার সাইট মুছে যেতে পারে, সার্ভার ডাউন হয়ে যেতে পারে, অনলাইন ভিত্তিক কোম্পানির আয় বন্ধ করতে পারে শুধু মাত্র কালি লিন্যাক্সের একটি আদেশে। চলুন দেখা যাক আমরা কালি লিনাক্স দিয়ে কি কি করতে পারি:
1. ওয়েবসাইট হ্যাক করা।
2. সার্ভার থেকে তথ্য হাইজ্যাক করা।
3. ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত যেকোনো জিনিস অ্যাক্সেস করা।
4. পেনিট্রেশন টেস্টিং করা।
5. ওয়েবসাইটে ত্রুটি খোঁজা।
এটির ব্যবহারবিধি অন্যান্য লিনাক্সের মত নয়। এটিতে রুট নামে শুধুমাত্র একটি ব্যবহারকারী রাখা হয়েছে। অপারেটিং সিস্টেমটি সকলের বোধগম্য নয়। টার্মিনালের মাধ্যমে এটিতে কমান্ড দিতে হয়। এটি পেনিট্রেশন টেস্টার, সাইবার সিকিউরিটি স্পেশালিস্ট এবং হ্যাকারদের প্রথম পছন্দ। সাধারন ব্যবহারকারী, গেমার এবং ওয়েব ডেভেলপারদের জন্য একটি আদর্শ প্ল্যাটফর্ম নয়।