ঘোষনাঃ
সম্মানীত সদস্যবৃন্দ, আপনাদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, এআই ব্যবহার করে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার কারণে সাইটের র‌্যাংক কমে গেছে। তাই এআই উত্তর আর অনুমোদন দেওয়া হবে না।
62 বার দেখা হয়েছে
"তথ্য ও প্রযুক্তি" বিভাগে করেছেন
করেছেন

কম্পিউটারে কোন কাজ করতে হলে সেটি প্রোগ্রামিংয়ের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হয় । সাধারণভাবে কম্পিউটারে দুই ধরনের প্রোগ্রাম থাকে । একটি হলো সিস্টেম সফটওয়্যার এবং অপরটি এপ্লিকেশন সফটওয়্যার।
ম্যালওয়ার এক ধরনের সফটওয়্যার যা কিনা অন্য সফটওয়্যারকে কাঙ্ক্ষিত কর্মসম্পাদন এ বাধার সৃষ্টি করে । আর এ বাধা অপারেটিং সিস্টেম সফটওয়্যার বা এপ্লিকেশন সফটওয়্যার এর জন্যই হতে পারে শুধু যে বাধার সৃষ্টি করে তা নয় । কোন কোন ম্যালওয়ার ব্যবহারকারীর কম্পিউটারে রক্ষিত তথ্য চুরি করে। কোন কোন সময় ব্যবহারকারীর অজান্তে তার কম্পিউটার সিস্টেমের প্রবেশাধিকার লাভ করে । ম্যালওয়্যার প্রোগ্রামিং কোড , স্ক্রিপ্ট সক্রিয়তার কিংবা অন্যান্য সফটওয়্যার এর মতো প্রকাশিত হতে পারে। অন্য ভাবে বলা যায় কম্পিউটারে অনুপ্রবেশকারী বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর সফটওয়্যার এর সাধারণ নামেই হল ম্যালওয়ার।

সেই সকল অতিরিক্ত সফটওয়্যার যা আপনার ইচ্ছার বিরুদ্ধে আপনার কম্পিউটার বা স্মার্টফোন বা স্মার্ট ডিভাইসে পূর্বেই ইন্সটল করা থাকে। উদাহরণ স্বরুপ, আপনি uTorrent ইন্সটল করতে চান। সেই জন্য আপনি এটার সেটাপ ফাইল ডাউনলোড করে চোখ বন্ধ করে নেক্সট নেক্সট ক্লিক করে ইন্সটল করে ফেললেন। তারপর দেখলেন আপনার কম্পিউটারে ওপেরা ব্রাউজার ও এভাস্ট সিকিউরিটি সেন্টার ইন্সটল হয়ে গেছে!

অবশ্যই অনেকের কাছে ওপেরা বা এভাস্ট প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার হতে পারে। তবে আসল বিষয় হলো, এই সফটওয়্যার সমুহ আপনি ইন্সটল করতে চেয়েছিলেন না। এই সফটওয়্যার গুলোর কারনে আপনার কম্পিউটারে অরিতিক্ত কিছু রিসোর্স ব্যবহৃত হবে।

যদি আপনার কম্পিউটারে অতিরিক্ত ফ্রি রিসোর্স পড়ে থাকে তাহলে একবার চিন্তা করুন সেই সকল পুরাতন কম্পিউটারের বিষয়ে। যেগুলোতে সীমিত আকারের প্রসেসিং ক্ষমতা থাকে। তার ভেতর অতিরিক্ত সফটওয়্যার সমুহ কি ঝামেলা তৈরী করতে পারে?

এখন অবশ্য কম্পিউটার বা মোবাইল কেনার পর থেকেই সেই অপারেটিং সিস্টেমে বা সেই এন্ড্রয়েড ডিভাইসের কাস্টম রমে ডজন খানেক ব্লটওয়্যার দেওয়াই থাকে। অনেক অ্যাপস আপনি চাইলেও রিমুভ করতে পারেন না।

ট্রোজান ম্যালওয়্যারের নামকরণ করা হয়েছে ট্রোজান হর্স থেকে। ট্রোজান হর্স সম্পর্কে যারা জানেন না তাদের জন্য ট্রোজান হর্স বিষয়ে সামান্য কিছু ধারনা দেওয়া হয়েছে। আপনারা হয়তো ঐতিহাসিক ট্রয় এবং ট্রোজানদের যুদ্ধের কাহিনী জানেন। ট্রোজানরা যখন ট্রয় নগরী আক্রমন করতে আসে তখন ট্রয় নগরীর চারপাশের প্রাচীর ভেদ করে ট্রোজানরা ভেতরে প্রবেশ করতে পারছিলো না। পরে তারা বুদ্ধি করে নিজেদের যুদ্ধ জাহাজগুলোকে লুকিয়ে রেখে সমুদ্রতীরে বিশাল এক কাঠের ঘোড়া তৈরী করে। যার ভেতরে ট্রোজান বীরগণ লুকিয়ে ছিলেন। 
ট্রয় নগরীর রাজা যখন বুঝতে পারলেন যে ট্রোজানরা পালিয়ে গেছে এবং তিনি সমুদ্রতীরে একটি কাঠের বিশাল আকৃতির ঘোড়া দেখতে পেলেন। তিনি সেটাকে দেবতার আশির্বাদ ভেবে ট্রয় নগরীর ভেতরে নিয়ে আসলেন। তারপর রাতের অন্ধকারে ট্রোজান সৈন্যরা ঘোড়া ভেঙ্গে বের হয়ে আসলো এবং দুর্গের দরজা ভেতর থেকে খুলে দিয়ে ট্রোজান সেনাবাহিনীল ভেতরের ঢুকার রাস্তা বের করে দেয়। এভাবেই ট্রয় নগরী বায়রের শক্তিশালী প্রাচীর থাকা সত্ত্বেও অরক্ষিত অবস্থায় ধ্বংস হয়ে যায়। ঐতিহাসিক ট্রোজান হর্স | ট্রয় নগরী যার মাধ্যমে ধ্বংস হয়েছিলো | 
ট্রোজান ভাইরাসের সাথে ট্রোজান হর্সের এই ইতিহাস ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। কারন ট্রোজান ভাইরাস ঠিক এভাবেই কাজ করে। এটি সন্তর্পনে আপনার কম্পিউটারে প্রবেশ করে এবং তারপর আপনার অজান্তে এটি সার্ভারের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা করে। যখন সফল হয় তখন আপনার পিসির নিয়ন্ত্রনের জন্য ব্যকডোর ওপেন হয়ে যায়। তারমানে হ্যাকাররা দুরে থেকেই আপনার পিসি নিয়ন্ত্রন করতে পারে এবং আপনার যাবতীয় গোপন জিনিস তারা হাতিয়ে নেয়।
তবে আক্রান্ত হওয়ার পরে আপনি যদি বুঝতে পারেন যে আপনার পিসি ট্রোজান ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে তাহলে সব চেয়ে বড় সুবিধা হলো আপনি যদি ইন্টারনেট কানেকশন বন্ধ রাখেন তাহলে হ্যাকাররা কোন ভাবেই আপনার পিসি নিয়ন্ত্রন করতে বা তথ্য চুরি করতে পারবে না। কানেকশন বন্ধ রেখে আপনি খুব সহজেই ট্রোজান রিমুভার দিয়ে ট্রোজান ভাইরাস অপসারন করতে পারবেন।
ওয়ার্ম (Worms) হলো ম্যালওয়্যার গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বিধ্বংসী। ওয়ার্ম (Worms) দ্বারা আক্রান্ত কোন সিস্টেম থেকে যদি কোন ফাইল ইন্টারনেটের মাধ্যমে অন্য কম্পিউটারে স্থানান্তর করা হয় তাহলে সেই কম্পিউটারের পাশাপাশি তার নেটওয়ার্ক সিস্টেমেও সিকিউরিটি ক্রুটি সৃষ্টি হয়। যার ফলে কয়েক মিনিটের মধ্যেই সমগ্র নেটওয়ার্ক ওয়ার্ম (Worms) এর আওতায় চলে আসে এবং এর দ্বারা যুক্ত কম্পিউটারগুলো একই ম্যালওয়্যা দ্বারা আক্রান্ত হয়ে।
ওয়ার্ম (Worms) থেকে মুক্তি পেতে হলে ওয়ার্ম দ্বারা আক্রান্ত সিস্টেমকে আগে বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে হবে। তাহলেই ওয়ার্ম (Worms) নতুন ভাবে কাউকে আক্রমন করতে পারবে না। অনলাইন ভাইরাস সম্পর্কে নিজে সচেতন থাকুন এবং অপরকেও সচেতন করুন।

1 টি উত্তর

0 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন
ম্যালওয়্যার (Malware) হলো "Malicious Software" এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এটি এমন এক ধরনের ক্ষতিকর প্রোগ্রাম বা কোড, যা কোনো কম্পিউটার, নেটওয়ার্ক, বা ডিভাইসের ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়। ম্যালওয়্যার ব্যবহারকারীর অজান্তে তাদের ডিভাইসে প্রবেশ করে ডেটা চুরি, সিস্টেমের ক্ষতি, বা অন্যান্য ক্ষতিকর কাজ করতে পারে।

বিভিন্ন ধরণের ম্যালওয়্যার বিভিন্ন উপায়ে কাজ করে। নিচে কয়েকটি প্রধান ধরণের ম্যালওয়্যার এবং তাদের কার্যক্রম আলোচনা করা হলো:

১. ভাইরাস (Virus):

ভাইরাস হলো এক ধরনের ম্যালওয়্যার যা কোনো প্রোগ্রামের সাথে যুক্ত হয়ে থাকে এবং যখন সেই প্রোগ্রামটি চালানো হয়, তখন ভাইরাসটি সক্রিয় হয়ে ওঠে। এটি অন্যান্য ফাইলে নিজেদের কপি তৈরি করে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং সিস্টেমের ক্ষতি করতে পারে। ভাইরাসের কিছু সাধারণ কাজ হলো - ফাইল ডিলিট করা, ডেটা করাপ্ট করা, সিস্টেম স্লো করে দেওয়া ইত্যাদি।

২. ওয়ার্ম (Worm):

ওয়ার্ম হলো স্ব-প্রতিলিপিকারী ম্যালওয়্যার, অর্থাৎ এটি কোনো হোস্ট প্রোগ্রামের সাহায্য ছাড়াই নিজের কপি তৈরি করে নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অন্যান্য কম্পিউটারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। ওয়ার্ম সাধারণত নেটওয়ার্ক ব্যান্ডউইথ নষ্ট করে এবং সিস্টেমের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়।

৩. ট্রোজান হর্স (Trojan Horse):

ট্রোজান হর্স হলো এমন একটি ম্যালওয়্যার যা দেখতে নিরীহ কোনো প্রোগ্রামের মতো মনে হয়, কিন্তু এর মধ্যে ক্ষতিকর কোড লুকানো থাকে। যখন ব্যবহারকারী এই প্রোগ্রামটি চালায়, তখন ট্রোজানটি সক্রিয় হয়ে সিস্টেমের ক্ষতি করে। ট্রোজান সাধারণত ব্যাকডোর তৈরি করে হ্যাকারদের সিস্টেমে প্রবেশ করতে সাহায্য করে।

৪. স্পাইওয়্যার (Spyware):

স্পাইওয়্যার হলো এমন ম্যালওয়্যার যা ব্যবহারকারীর অজান্তে তাদের কার্যকলাপ নজরদারি করে এবং তথ্য সংগ্রহ করে। এই তথ্য হ্যাকারদের কাছে পাঠানো হতে পারে। স্পাইওয়্যার সাধারণত কি-লগার (keylogger), স্ক্রিনশট ক্যাপচার, এবং ব্রাউজিং হিস্টরি ট্র্যাক করার মতো কাজ করে।

৫. অ্যাডওয়্যার (Adware):

অ্যাডওয়্যার হলো এমন ম্যালওয়্যার যা ব্যবহারকারীর ডিভাইসে অবাঞ্ছিত বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে। এটি সাধারণত ব্রাউজারের সাথে যুক্ত থাকে এবং পপ-আপ বিজ্ঞাপন, ব্যানার বিজ্ঞাপন, এবং অন্যান্য ধরণের বিজ্ঞাপন দেখায়।

৬. র্যানসমওয়্যার (Ransomware):

র্যানসমওয়্যার হলো এমন ম্যালওয়্যার যা ব্যবহারকারীর ফাইল এনক্রিপ্ট করে বা সিস্টেম লক করে দেয় এবং তারপর মুক্তিপণের (ransom) দাবি করে। মুক্তিপণ পরিশোধ না করা পর্যন্ত ব্যবহারকারী তাদের ডেটা বা সিস্টেম অ্যাক্সেস করতে পারে না।

৭. রুটকিট (Rootkit):

রুটকিট হলো এমন ম্যালওয়্যার যা সিস্টেমের গভীরে লুকিয়ে থাকে এবং হ্যাকারদের সিস্টেমের উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে সাহায্য করে। এটি সাধারণত অন্যান্য ম্যালওয়্যার লুকানোর জন্য ব্যবহার করা হয়।

৮. বটনেট (Botnet):

বটনেট হলো অনেকগুলো কম্পিউটারের একটি নেটওয়ার্ক, যা ম্যালওয়্যার দ্বারা সংক্রমিত এবং হ্যাকারদের নিয়ন্ত্রণে থাকে। হ্যাকাররা বটনেট ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরণের আক্রমণ চালায়, যেমন - ডিডস অ্যাটাক (DDoS attack), স্প্যাম ইমেইল পাঠানো, এবং ম্যালওয়্যার ছড়ানো।

ম্যালওয়্যার থেকে বাঁচতে কিছু সতর্কতা:

 * অপরিচিত উৎস থেকে কোনো ফাইল বা প্রোগ্রাম ডাউনলোড করবেন না।

 * অ্যান্টিভাইরাস এবং অ্যান্টিম্যালওয়্যার সফটওয়্যার ব্যবহার করুন এবং নিয়মিত আপডেট করুন।

 * সন্দেহজনক ইমেইল বা লিংকে ক্লিক করবেন না।

 * অপারেটিং সিস্টেম এবং অন্যান্য সফটওয়্যার নিয়মিত আপডেট করুন।

 * শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন এবং নিয়মিত পরিবর্তন করুন।

এই সতর্কতাগুলো মেনে চললে ম্যালওয়্যার আক্রমণের ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো যায়।

এরকম আরও কিছু প্রশ্ন

1 টি উত্তর
0 টি উত্তর

36,000 টি প্রশ্ন

35,265 টি উত্তর

1,738 টি মন্তব্য

3,753 জন সদস্য

Ask Answers সাইটে আপনাকে সুস্বাগতম! এখানে আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং অন্যদের প্রশ্নে উত্তর প্রদান করতে পারবেন ৷ আর অনলাইনে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য উন্মুক্ত তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার কাজে অবদান রাখতে পারবেন ৷
2 জন অনলাইনে আছেন
0 জন সদস্য, 2 জন অতিথি
আজকে ভিজিট : 14440
গতকাল ভিজিট : 17493
সর্বমোট ভিজিট : 51886790
এখানে প্রকাশিত সকল প্রশ্ন ও উত্তরের দায়ভার কেবল সংশ্লিষ্ট প্রশ্নকর্তা ও উত্তর দানকারীর৷ কোন প্রকার আইনি সমস্যা Ask Answers কর্তৃপক্ষ বহন করবে না৷
...