সাধারণত বাংলাদেশের চট্টগ্রাম এবং কুমিল্লা জেলার ইট সবচেয়ে ভালো বলে বিবেচিত হয়। এই দুই জেলায় উৎপাদিত ইটগুলির মধ্যে রয়েছে:
-
চট্টগ্রাম জেলার ইট: চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি, রাঙ্গুনিয়া, হাটহাজারী, সীতাকুণ্ড, মিরসরাই, আনোয়ারা, সাতকানিয়া,বাঁশখালী, কক্সবাজার, সাজেক, খাগড়াছড়ি ইত্যাদি উপজেলায় ইট উৎপাদন করা হয়। এই ইটগুলির মধ্যে ফটিকছড়ি ইট সবচেয়ে ভালো বলে বিবেচিত হয়। ফটিকছড়ি ইটগুলির রং লালচে, আকার ও আকৃতি সুষম এবং শক্তি ও স্থায়িত্ব বেশি।
-
কুমিল্লা জেলার ইট: কুমিল্লা জেলার চান্দিনা, দেবিদ্বার, লালমাই, ব্রাহ্মণপাড়া, মুরাদনগর, বরুড়া, সদর, লাকসাম, মনোহরগঞ্জ,নোয়াখালী ইত্যাদি উপজেলায় ইট উৎপাদন করা হয়। এই ইটগুলির মধ্যে চান্দিনা ইট সবচেয়ে ভালো বলে বিবেচিত হয়। চান্দিনা ইটগুলির রং লালচে, আকার ও আকৃতি সুষম এবং শক্তি ও স্থায়িত্ব বেশি।
এই দুই জেলার ইটগুলি ভালো হওয়ার কারণ হলো:
-
এই জেলাগুলিতে উৎপাদিত ইটগুলি তৈরিতে ভালো মানের কাঁচামাল ব্যবহার করা হয়।
-
এই জেলাগুলিতে ইট তৈরির প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালিত হয়।
-
এই জেলাগুলিতে ইট তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশগত অবস্থা ভালো।
এছাড়াও, এই দুই জেলার ইটগুলির দামও তুলনামূলকভাবে কম। তাই, এই জেলার ইটগুলি বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ইট।
তবে, শুধুমাত্র জেলার ভিত্তিতে ইটের মান বিচার করা ঠিক নয়। নির্মাণ কাজে ব্যবহারের জন্য ইট কেনার সময় অবশ্যই ইটের গুণমান পরীক্ষা করে নিতে হবে। ইটের গুণমান পরীক্ষা করার জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলি লক্ষ্য করা যেতে পারে:
-
ইটের রঙ: ভালো মানের ইটের রঙ লালচে বা হালকা লালচে হওয়া উচিত।
-
ইটের আকার ও আকৃতি: ভালো মানের ইটের আকার ও আকৃতি সুষম হওয়া উচিত।
-
ইটের শক্তি: ভালো মানের ইট শক্ত ও স্থায়িত্বশীল হওয়া উচিত।
-
ইটের শোষণ ক্ষমতা: ভালো মানের ইটের শোষণ ক্ষমতা কম হওয়া উচিত।
এছাড়াও, ইটের দামও পরীক্ষা করে নিতে হবে। ভালো মানের ইটের দাম তুলনামূলকভাবে বেশি হওয়া উচিত।