রিংগিং হল একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে পাখিদের পরিসংখ্যানগত তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এই পদ্ধতিতে, পাখিদের পায়ে একটি রিং লাগানো হয়। এই রিংয়ে একটি অনন্য কোড থাকে যা পাখিটিকে চিহ্নিত করে। রিং লাগানোর পরে, পাখিটিকে অবমুক্ত করে দেওয়া হয়।
পরবর্তীতে, যদি কেউ রিংযুক্ত পাখিটিকে ধরে ফেলে, তাহলে সে রিংটিতে থাকা কোডটি দেখে পাখিটির পরিসংখ্যানগত তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। এই তথ্যগুলির মধ্যে রয়েছে পাখির প্রজাতি, বয়স, লিঙ্গ, এবং ধরা পড়ার স্থান ও সময়।
রিংগিং পদ্ধতি পাখিদের সম্পর্কে আমাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে। এই তথ্যগুলির মধ্যে রয়েছে:
-
পাখিদের আবাসস্থল ও বিচরণ এলাকা
-
পাখিদের প্রজনন ও বংশ বিস্তার
-
পাখিদের মৃত্যুর কারণ
রিংগিং পদ্ধতি পাখিদের সংরক্ষণের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে, আমরা পাখিদের ঝুঁকিপূর্ণ প্রজাতির সন্ধান করতে পারি এবং তাদের সংরক্ষণের জন্য ব্যবস্থা নিতে পারি।
বাংলাদেশে রিংগিং পদ্ধতিটি বেশ জনপ্রিয়। বাংলাদেশ ন্যাশনাল ব্রড অ্যান্ড ওয়ার্ল্ড ব্রড কনসার্ভেশন ইউনিয়ন (বাংলাদেশের ব্রড ফাউন্ডেশন) এর সহযোগিতায় বাংলাদেশে রিংগিং কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
রিংগিং পদ্ধতিতে ব্যবহৃত রিংগুলি বিভিন্ন ধরনের হয়। সাধারণত, রিংগুলি প্লাস্টিক, অ্যালুমিনিয়াম, বা স্টিল দিয়ে তৈরি করা হয়। রিংগুলির আকার পাখির প্রজাতি ও আকার অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়।
রিংগিং পদ্ধতিটি বেশ নিরাপদ। রিংগুলি পাখির স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় কোনো বাধা সৃষ্টি করে না।