জীবাশ্ম হল প্রাচীন প্রাণী বা উদ্ভিদের ধ্বংসাবশেষ বা ছাপ যা শিলায় সংরক্ষিত হয়েছে। জীবাশ্মগুলি প্রায়শই জীবন্ত প্রাণীদের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ, তবে তারা অনেকগুলি আকারে, আকারে এবং অবস্থায় আসতে পারে।
জীবাশ্ম পৃথিবীর ইতিহাস সম্পর্কে আমাদের অনেক কিছু শেখাতে পারে। তারা আমাদের প্রাচীন প্রাণী এবং উদ্ভিদগুলি কী ছিল তা শিখতে সাহায্য করে, সেইসাথে তারা কীভাবে বিবর্তিত হয়েছিল। জীবাশ্মগুলি আমাদের ভূতাত্ত্বিক সময়ের স্কেল সম্পর্কেও তথ্য প্রদান করতে পারে।
জীবাশ্ম তৈরির প্রক্রিয়াটি বেশ জটিল। প্রথমে, একটি প্রাণী বা উদ্ভিদ মারা যায় এবং এটি দ্রুত মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়। এই মাটিতে থাকা খনিজগুলি প্রাণী বা উদ্ভিদের ধ্বংসাবশেষের সাথে প্রতিক্রিয়া করে এবং এটিকে পাথরে পরিণত করে।
জীবাশ্মগুলি বিভিন্ন উপায়ে তৈরি হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, একটি প্রাণীর হাড় বা দাঁত খনিজ দ্বারা প্রতিস্থাপিত হতে পারে এবং পাথরে পরিণত হতে পারে। একটি প্রাণীর শরীরের বাইরের অংশ, যেমন খোলস বা কঙ্কাল, খনিজ দ্বারা আচ্ছাদিত হতে পারে এবং পাথরে পরিণত হতে পারে। একটি প্রাণীর ছাপ বা পদচিহ্নও শিলায় সংরক্ষিত থাকতে পারে।
জীবাশ্মগুলি পৃথিবীর সর্বত্র পাওয়া যায়, তবে কিছু জায়গা জীবাশ্মের জন্য বিশেষভাবে সমৃদ্ধ। উদাহরণস্বরূপ, ওয়াইওমিংয়ের ডায়নোসর ন্যাশনাল পার্কে প্রচুর পরিমাণে ডাইনোসর জীবাশ্ম পাওয়া যায়।
জীবাশ্মগুলি বিজ্ঞানীদের জন্য একটি মূল্যবান সম্পদ। তারা আমাদের পৃথিবীর ইতিহাস এবং প্রাণী এবং উদ্ভিদের বিবর্তন সম্পর্কে অনেক কিছু শিখতে সাহায্য করে।