হার্টবিট হল হৃৎপিণ্ডের প্রতি মিনিটে কয়বার সংকোচন ও প্রসারণ ঘটে তার পরিমাপ। এটিকে প্রতি মিনিটে স্পন্দন (BPM) হিসেবে প্রকাশ করা হয়। সাধারণত, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের বিশ্রাম অবস্থায় হার্টবিট ৬০-১০০ BPM থাকে। তবে, শারীরিক পরিশ্রম, উত্তেজনা, ভয়, বা অন্য কোনো কারণে হার্টবিট বেড়ে যেতে পারে।
হার্টবিট শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে রক্ত সরবরাহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যখন হৃৎপিণ্ড সংকোচিত হয়, তখন রক্ত ধমনী দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে প্রবাহিত হয়। যখন হৃৎপিণ্ড প্রসারিত হয়, তখন রক্ত হৃৎপিণ্ডের মধ্যে ফিরে আসে।
হার্টবিটের অস্বাভাবিকতা বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। যেমন, দ্রুত হার্টবিট (ট্যাকিকার্ডিয়া), ধীর হার্টবিট (ব্র্যাডিকার্ডিয়া), বা অনিয়মিত হার্টবিট (এরিয়াথমিমিয়া)।
হার্টবিট পরিমাপের বিভিন্ন উপায় রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:
-
নাড়ি পরীক্ষা: নাড়ি পরীক্ষায়, একজন স্বাস্থ্যসেবা পেশাদার কব্জি, ঘাড়, বা অন্য কোনো স্থানে নাড়ি অনুভব করে হার্টবিট পরিমাপ করে।
-
ইকোকার্ডিওগ্রাম: ইকোকার্ডিওগ্রামে, একটি আল্ট্রাসাউন্ড যন্ত্র ব্যবহার করে হৃৎপিণ্ডের চলাচল পর্যবেক্ষণ করা হয়। এই পরীক্ষায় হার্টবিটও পরিমাপ করা যেতে পারে।
-
ইলেট্রোকর্ডিওগ্রাম (ECG): ECG-তে, হৃৎপিণ্ডের বৈদ্যুতিক ক্রিয়াকলাপ রেকর্ড করা হয়। এই পরীক্ষায় হার্টবিটও পরিমাপ করা যেতে পারে।
হার্টবিট পরিমাপ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যসেবা পরীক্ষা। এটি বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার সনাক্তকরণে সাহায্য করতে পারে।