যে জীব শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে পাওয়া যায় তাকে এন্ডেমিক জীব বলে। এন্ডেমিক জীবের বিস্তৃতি সাধারণত খুব সীমিত হয় এবং এটি একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক অঞ্চল, একটি নির্দিষ্ট জলবায়ু অঞ্চল, বা একটি নির্দিষ্ট বাসস্থান পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকে।
এন্ডেমিক জীবের উদাহরণ হল:
-
বাংলাদেশের বন্য গণেশ মৃগ শুধুমাত্র বাংলাদেশে পাওয়া যায়।
-
হাওয়াইয়ের হুপো পাখি শুধুমাত্র হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে পাওয়া যায়।
-
অ্যামাজন রেইনফরেস্টের ব্রাজিলিয়ান টাপির শুধুমাত্র অ্যামাজন রেইনফরেস্টে পাওয়া যায়।
এন্ডেমিক জীবের বিস্তৃতি সীমিত হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:
-
ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য, যেমন পর্বতমালা, সাগর, বা মরুভূমি, যা জীবের বিস্তারকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
-
জলবায়ু পরিস্থিতি, যেমন তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাত, বা বাতাসের প্রবাহ, যা জীবের বিস্তারকে প্রভাবিত করতে পারে।
-
বাসস্থানের ধরন, যেমন বন, তৃণভূমি, বা মরুভূমি, যা জীবের চাহিদা পূরণ করে।
এন্ডেমিক জীব জীববৈচিত্র্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এন্ডেমিক জীবের বিলুপ্তি একটি অঞ্চলের বাস্তুতন্ত্রের জন্য একটি গুরুতর ক্ষতি।
বাংলাদেশে অনেক এন্ডেমিক জীব রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:
-
প্রাণী: বন্য গণেশ মৃগ, হাতি, চিতাবাঘ, বনরুই, বনগরু, বানর, শিয়াল, বাঘ, কুমির, সাপ, ইত্যাদি।
-
উদ্ভিদ: পলাশ, শিমুল, জারুল, বকুল, কৃষ্ণচূড়া, কেওড়া, গরান, ইত্যাদি।
বাংলাদেশের এন্ডেমিক জীবের সংরক্ষণের জন্য সরকার এবং বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে।