পিকলিং হল খাবারকে লবণ, পানি, এবং অ্যাসিডের মিশ্রণে সংরক্ষণ করার প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়াতে, খাবারের অণুগুলি অ্যাসিড দ্বারা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, যার ফলে ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক জীবাণুর বৃদ্ধি রোধ হয়। পিকলিং খাবারকে দীর্ঘ সময় ধরে সংরক্ষণ করতে সাহায্য করে এবং এটিকে একটি অনন্য স্বাদ এবং গন্ধ দেয়।
পিকলিংয়ের জন্য ব্যবহৃত অ্যাসিডের মধ্যে রয়েছে ভিনেগার, লেবুর রস, এবং কমলার রস। ভিনেগার সবচেয়ে সাধারণ অ্যাসিড যা পিকলিংয়ে ব্যবহৃত হয়। ভিনেগারের মধ্যে থাকা অ্যাসিটিক অ্যাসিড খাবারের অণুগুলিকে বিচ্ছিন্ন করে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ করে।
পিকলিংয়ের জন্য ব্যবহৃত লবণ খাবারের স্বাদ বাড়ায় এবং এটিকে আরও সংরক্ষণযোগ্য করে তোলে। লবণ খাবারের জল বের করে দেয়,যা খাবারের উপর ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ করে।
পিকলিংয়ের জন্য ব্যবহৃত অন্যান্য উপাদানগুলির মধ্যে রয়েছে মসলা, ভেষজ, এবং মশলা। এই উপাদানগুলি পিকলিংয়ের খাবারকে একটি অনন্য স্বাদ এবং গন্ধ দেয়।
পিকলিংয়ের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা যেতে পারে এমন বিভিন্ন ধরণের খাবার রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সবজি, ফল, মাছ, এবং মাংস। সবচেয়ে জনপ্রিয় পিকলিংয়ের খাবারগুলির মধ্যে রয়েছে আচার, শসা, কাঁচা মরিচ, এবং ক্যাপসিকাম।
পিকলিং একটি প্রাচীন প্রক্রিয়া যা হাজার হাজার বছর ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। পিকলিংয়ের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা খাবারগুলি দীর্ঘ সময় ধরে খাওয়া যেতে পারে এবং এগুলি পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু।
বাংলাদেশে পিকলিং একটি জনপ্রিয় খাবার সংরক্ষণের পদ্ধতি। এখানে বিভিন্ন ধরণের পিকলিং তৈরি করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে আচার,শসা, কাঁচা মরিচ, এবং ক্যাপসিকাম। বাংলাদেশের পিকলিংগুলি তাদের অনন্য স্বাদ এবং গন্ধের জন্য বিখ্যাত।