এসিড তৈরি করা হয় বিভিন্ন কাজে ব্যবহারের জন্য। যেমন:
-
রাসায়নিক শিল্পে: এসিড বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। যেমন: নাইট্রিক এসিড, সালফিউরিক এসিড,ফসফরিক এসিড ইত্যাদি।
-
খাদ্য শিল্পে: এসিড খাদ্য সংরক্ষণ, রঙিন করা, স্বাদ বাড়ানো ইত্যাদি কাজে ব্যবহার করা হয়। যেমন: ভিনেগার, লেবুর রস, টাটকা ফল ইত্যাদি।
-
চিকিৎসা ক্ষেত্রে: এসিড বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। যেমন: অ্যাসিড থেরাপি, অ্যান্টাসিড ইত্যাদি।
-
কৃষি ক্ষেত্রে: এসিড সার তৈরিতে, মাটি পরিষ্কার করতে, কীটনাশক তৈরিতে ইত্যাদি কাজে ব্যবহার করা হয়।
শক্তিশালী এসিড গুলো খেতে পারি না কারণ এগুলো খুবই ক্ষয়কারী। এগুলো আমাদের শরীরের ত্বক, চোখ, মুখ, খাদ্যনালী ইত্যাদি ক্ষতি করতে পারে। এছাড়াও, এগুলো আমাদের শরীরের ভেতরে প্রবেশ করে অনেক ক্ষতি করতে পারে।
শক্তিশালী এসিড গুলো খেলে যে ক্ষতি হতে পারে তার মধ্যে রয়েছে:
-
ত্বকের ক্ষয়: শক্তিশালী এসিড ত্বকের উপর লাগলে ত্বক পুড়ে যায়, ছিঁড়ে যায়, এমনকি পচে যেতে পারে।
-
চোখের ক্ষয়: শক্তিশালী এসিড চোখে লাগলে চোখ জ্বালা করে, চোখের মণি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, এমনকি অন্ধত্বও হতে পারে।
-
মুখের ক্ষয়: শক্তিশালী এসিড মুখের ভেতর লাগলে মুখের ভেতরের আস্তরণ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, এমনকি দাঁত ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
-
খাদ্যনালীর ক্ষয়: শক্তিশালী এসিড খাদ্যনালী দিয়ে গলায় ঢুকে গেলে খাদ্যনালীর ভেতরের আস্তরণ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, এমনকি খাদ্যনালী ছিঁড়ে যেতে পারে।
-
অভ্যন্তরীণ ক্ষয়: শক্তিশালী এসিড শরীরের ভেতরে প্রবেশ করলে অন্ত্র, পাকস্থলী, লিভার ইত্যাদি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্ষতি করতে পারে।
তাই শক্তিশালী এসিড গুলো কখনোই খাওয়া উচিত নয়। এগুলো ব্যবহারের সময় সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।