পলির বর্জন নীতি হলো একটি কোয়ান্টাম মেকানিক্স নীতি যা বলে যে, একই পরমাণুতে কোনো দুটি ইলেকট্রনের জন্য চারটি কোয়ান্টাম সংখ্যার মান একই হতে পারে না। এই নীতিটি ১৯২৫ সালে অস্ট্রিয়ার পদার্থবিদ ভল্ফগাং পাওলি প্রস্তাব করেন।
পাওলি বর্জন নীতির চারটি কোয়ান্টাম সংখ্যা হলো:
-
প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা (n): এটি ইলেকট্রনের কক্ষপথের আকার নির্ধারণ করে।
-
সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যা (l): এটি ইলেকট্রনের কক্ষপথের আকৃতি নির্ধারণ করে।
-
ম্যাগনেটিক কোয়ান্টাম সংখ্যা (m): এটি ইলেকট্রনের কক্ষপথের দিক নির্ধারণ করে।
-
স্পিন কোয়ান্টাম সংখ্যা (s): এটি ইলেকট্রনের ঘূর্ণন দিক নির্ধারণ করে।
পলির বর্জন নীতির অর্থ হলো, একটি পরমাণুতে যেকোনো দুটি ইলেকট্রনের জন্য:
-
তাদের প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা (n) একই হতে পারে না।
-
তাদের সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যা (l) একই হতে পারে না।
-
তাদের ম্যাগনেটিক কোয়ান্টাম সংখ্যা (m) একই হতে পারে না।
-
তাদের স্পিন কোয়ান্টাম সংখ্যা (s) একই হতে পারে না।
এই নীতিটি পরমাণুর ইলেকট্রন বিন্যাস ব্যাখ্যা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি ব্যাখ্যা করে যে, কেন পরমাণুর ইলেকট্রন সবসময় নিম্ন শক্তিস্তর থেকে উচ্চ শক্তিস্তরে চলে যায়।
পলির বর্জন নীতির কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োগ হলো:
-
এটি নোবেল গ্যাসের ইলেকট্রন বিন্যাস ব্যাখ্যা করে।
-
এটি পরমাণুর আয়নন শক্তি ব্যাখ্যা করে।
-
এটি রাসায়নিক বন্ধন ব্যাখ্যা করতে সাহায্য করে।
পলির বর্জন নীতি কোয়ান্টাম মেকানিক্সের একটি মৌলিক নীতি যা পদার্থবিজ্ঞান এবং রসায়নে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।