বেনার সংজ্ঞাঃ-
নামাযের মধ্যে উযু নষ্ট হয়ে গেলে উযু করে এসে আদায়কৃত নামাযের সাথে মিলিয়ে বাকী নামায আদায় করাকে শরীয়তের পরিভাষায় বেনা বলে।
বেনার হুকুমঃ- বেনা করা জায়েজ।
পদ্ধতিঃ-
★ মুসল্লী যদি মুনফারিদ হয়, তাহলে নামায শুরু থেকে আরম্ভ করা উত্তম।
★ আর যদি ইমাম হয়, তাহলে তার স্থলাভিষিক্ত অপর একজনকে বাকি নামাযের ইমাম বানাবে। অতঃপর উযু করে এসে মুক্তাদীদের সাথে শামিল হয়ে অবশিষ্ট নামাজ পুরা করবে।
★ আর যদি মুক্তাদী হয় তাহলে উযু করে পুনরায় যথাস্থানে এসে যাবে। এ সময়ে যে পরিমাণ নামায ইমাম সাহেব পড়ে ফেলেছেন তা প্রথমে কিরাত বিহীন (অন্যান্য মুক্তাদী যেমন ইমামের পেছনে নামাজ আদায় করে, সেভাবেই সে) আদায় করবে। অতঃপর ইমামের সাথে (শরীক হয়ে) নামায শেষ করে ফেলবে। আর যদি ( সে কিরাত বিহীন নামাজ আদায় করতে করতে এদিকে) ইমাম সাহেব নামায শেষ করে ফেলেন, তবে মুক্তাদীর ইখতিয়ার রয়েছে, ইচ্ছে হলে পূর্বের স্থানে ফিরে আসবে, নতুবা যেখানে উযু করবে সেখানেই নামাজ পূর্ণ করে নিবে।
প্রকাশ থাকে যে, এই বেনা তখনই করতে পারবে যখন নামাজের ভেতর অনিচ্ছেকৃতভাবে কারও উযু ভেঙে যাবে। আর যদি স্বেচ্ছায় উযু ভঙ্গ করে তাহলে বেনা হবে না, কেননা সেচ্ছায় উযু ভাঙ্গার কারণে তার নামাযই ভঙ্গ হয়ে যাবে।