57 বার দেখা হয়েছে
"ফতোয়া" বিভাগে করেছেন

3 উত্তর

1 টি পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন
নির্বাচিত করেছেন
 
সর্বোত্তম উত্তর
তাহাজ্জুদের নামায পড়া সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ। কেননা নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনও উহা ছাড়েন নি। কখনও রাতে পড়তে না পারলে দিনে ১২ রাক'আত কাযা করে নিতেন। তাহাজ্জুদের নামায সর্বনিম্ন চার রাক'আত। তদ্রুপ সর্বোচ্চ ১২ রাক'আতের বেশী পড়ার প্রমাণ পাওয়া যায় নি। 

হুজুর রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিতরের নামায তাহাজ্জুদের নামাযের পরে পড়তেন। তাই এ নিয়মে পড়াই সুন্নত। তবে এই ভাবে ঐ ব্যক্তির জন্য উত্তম, যার নিজের উপর এই আত্মবিশ্বাস আছে যে, সে শেষ রাত্রে উঠে তাহাজ্জুদের নামায আদায়ের পর বিতর পড়তে পারবে। আর যদি শেষ রাত্রে উঠার ব্যাপারে নিশ্চিত না হওয়া যায়, তাহলে ঘুমানোর পূর্বেই বিতর আদায় করে নিবে। কারণ, এতেই সতর্কতা নিহিত।

রাসূলে মাকবুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনও বিতর সহ ৭ রাক'আত তাহাজ্জুদ আদায় করতেন। কখনও ১১ রাক'আত, আবার কখনও ১৩ রাক'আত, কখনও ১৫ রাক'আত পড়েছেন । কখনও দুই রাক'আত কখনও চার রাক'আত আবার কখনও সমস্ত রাক'আত একই সালামে আদায় করেছেন। কখনও আবার দু' দু' রাক'আত নতুন উজু ও মিসওয়াক করে পড়তেন এবং প্রতি দু'রাক'আতের পর শয়ন করতেন। তারপর আবার জাগ্রত হতেন ।

নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহাজ্জুদের নামায দীর্ঘক্ষণ কিয়াম করতেন। ফলে তাঁর পা মুবারক ফুলে ফেটে যাওয়ার উপক্রম হত। কখনও তিনি চার রাক'আত এভাবে পড়তেন যে, প্রথম রাক'আতে সূরা বাকারা, দ্বিতীয় রাক'আতে সূরা আলে ইমরান, তৃতীয় রাক'আতে সূরা নিসা এবং চতুর্থ রাকআতে সূরা মায়িদা তিলাওয়াত করতেন। তিনি যে পরিমাণ সময় কিয়াম করতেন, ঠিক সে পরিমাণ সময় নিয়েই তিনি রুকু, কওমা (রূকু থেকে উঠে দাঁড়িয়ে থাকা), জলসা (আত্তাহিয়্যাতুর বৈঠক) ও সিজদা আদায় করতেন। আবার কখনও তিনি একই রাক'আতে উল্লেখিত সূরা সমূহ পড়ে নিতেন ।

হযরত উসমান রাযিয়াল্লাহু তা'য়ালা আনহু বিতরের এক রাক'আতে পূর্ণ কুরআন মাজীদ খতম করে ফেলতেন। তবে মুস্তাহাব হল এই যে, প্রতিদিন এই পরিমাণ কিরাআত পাঠ করবে যা সর্বদা অব্যাহত রাখা সম্ভব হয়। এক মাসে এক খতম, দুই খতম বা তিন খতম করবে।

অধিকাংশ সাহাবায়ে কিরাম রিযওয়ানুল্লাহি তা'য়ালা আলাইহি আজমাঈন সাত রাত্রে কুরআন খতম করতেন। প্রথম রাত্রে বড় তিন সূরা অর্থাৎ সূরা বাকারা, সূরা আলে-ইমরান ও সূরা নিসা পাঠ করতেন। দ্বিতীয় রাত্রে ৫ সূরা এবং তৃতীয় রাত্রে ৭ সূরা পাঠ করতেন। তারপর পরবর্তী তিন রাত্রে যথাক্রমে ৯, ১১, ১৩ সূরা পাঠ করতেন। অতঃপর সর্বশেষ রাত্রে কুরআনের বাকী অংশটুকু পড়ে নিতেন । তাঁরা এভাবে খতম করাকে ফীমা বিশাঊক বলে আখ্যায়িত করেছেন এবং তাঁরা কুরআন শরীফ তারতীলের সাথে পড়তেন। 
0 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন

ﻢﻴﺣﺮﻟﺍ ﻦﻤﺣﺮﻟﺍ ﻪﻠﻟﺍ ﻢﺴﺑ তাহাজ্জুদ নামায সুন্নাতে গায়রে মুআক্কাদা বা নফল। নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এ নামায চার, ছয়, আট, দশ ইত্যাদি প্রমাণিত। এর চেয়ে বেশি বা কম পড়াতেও কোন সমস্যা নেই। যেহেতু নফল, তাই যত ইচ্ছা পড়া যায়। তবে উত্তম হল আট রাকাত পড়া। َﻚَّﻟ ًﺔَﻠِﻓﺎَﻧ ِﻪِﺑ ْﺪَّﺠَﻬَﺘَﻓ ِﻞْﻴَّﻠﻟﺍ َﻦِﻣَﻭ ]١٧:٧٩ রাত্রির কিছু অংশ তাহাজ্জুদসহ জাগ্রত থাকুন। এটা আপনার জন্যে অতিরিক্ত। [সূরা বনী ইসরাঈল-৭৯] 

আবু সালামা ইবনে আব্দুর রহমান থেকে বর্ণিত, তিনি হযরত আয়েশা রা. কে জিজ্ঞাসা করেন যে, রমযানে নবীজীর নামায কেমন হত?
তিনি উত্তরে বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযানে এবং রমযানের বাইরে এগার রাকাতের বেশি পড়তেন না। প্রথমে চার রাকাত পড়তেন, যার সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করো না! এরপর আরও চার রাকাত পড়তেন, যার সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা তো বলাই বাহুল্য! এরপর তিন রাকাত (বিতর) পড়তেন।– {সহীহ বুখারী ১/১৫৪, হাদীস ১১৪৭; সহীহ মুসলিম ১/২৫৪, হাদীস ৭৩৮; সুনানে নাসায়ী ১/২৪৮, হাদীস ১৬৯৭; সুনানে আবু দাউদ ১/১৮৯, হাদীস ১৩৩৫; মুসনাদে আহমদ ৬/৩৬, হাদীস ২৪০৭৩} 
আব্দুল্লাহ ইবনে আবী কাইস বলেন- ﻪﻠﻟﺍ ﻝﻮﺳﺭ ﻥﺎﻛ ﻢﻜﺑ : ﺔﺸﺋﺎﻌﻟ ﺖﻠﻗ :ﺖﻟﺎﻗ ؟ﺮﺗﻮﻳ ﻢﻠﺳﻭ ﻪﻴﻠﻋ ﻪﻠﻟﺍ ﻰﻠﺻ ,ﺙﻼﺛﻭ ﺖﺳﻭ ,ﺙﻼﺛﻭ ﻊﺑﺭﺄﺑ ﺮﺗﻮﻳ ﻥﺎﻛ ﻦﻜﻳ ﻢﻟﻭ ,ﺙﻼﺛﻭ ﺮﺸﻋﻭ ,ﺙﻼﺛﻭ ﻥﺎﻤﺛﻭ ﻦﻣ ﺮﺜﻛﺄﺑ ﻻﻭ ,ﻊﺒﺳ ﻦﻣ ﺺﻘﻧﺄﺑ ﺮﺗﻮﻳ ﺓﺮﺸﻋ ﺙﻼﺛ. অর্থাৎ আমি হযরত আয়েশা রা.-এর কাছে জিজ্ঞাসা করলাম যে, নবীজী বিতরে কত রাকাত পড়তেন? উত্তরে তিনি বলেন, চার এবং তিন, ছয় এবং তিন, আট এবং তিন, দশ এবং তিন। তিনি বিতরে সাত রাকাতের কম এবং তের রাকাতের অধিক পড়তেন না। -{সুনানে আবু দাউদ ১/১৯৩, হাদীস ১৩৫৭ (১৩৬২); তহাবী শরীফ ১/১৩৯; মুসনাদে আহমদ ৬/১৪৯, হাদীস ২৫১৫৯}
0 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন

তাহাজ্জুদের নামাজ নফল নামাজ। এটি ফরজ নামাজের পরেই সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ নফল নামাজ। তাহাজ্জুদ নামাজের হুকুম সুন্নাতে মুআক্কাদ। অর্থাৎ, নবী করিম (সা.) এ নামাজ নিয়মিত পড়তেন এবং উম্মতকেও এ নামাজ পড়ার জন্য উৎসাহিত করতেন।

তাহাজ্জুদের নামাজের রাকাত সংখ্যা নির্দিষ্ট নয়। সর্বনিম্ন দুই রাকাত এবং সর্বোচ্চ আট রাকাত পড়া উত্তম। তবে এর বেশিও পড়া যায়। নবী করিম (সা.) কখনও চার রাকাত, কখনও আট রাকাত এবং কখনও বারো রাকাত তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তেন।

তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ার সময় হলো রাতের শেষ তৃতীয়াংশ। তবে ঘুম থেকে না জাগার সম্ভাবনা থাকলে ইশার নামাজের পর দুই রাকাত সুন্নত ও বিতরের আগে তা পড়ে নেয়া জায়েজ আছে।

তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ার নিয়ম অন্যান্য ওয়াক্তের নামাজের মতোই। তবে তাহাজ্জুদের নামাজে দীর্ঘ কেরাতে পড়া উত্তম।

তাহাজ্জুদের নামাজের ফজিলত অনেক। এ নামাজ পড়লে আল্লাহ তাআলা বান্দার গুনাহ মাফ করে দেন, বান্দার দুআ কবুল করেন এবং বান্দার জন্য জান্নাতের সুসংবাদ দেন।

তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ার জন্য নিম্নলিখিত নিয়মগুলি অনুসরণ করা যেতে পারে:

  • ইশার নামাজ আদায়ের পর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিন।
  • রাতের শেষ তৃতীয়াংশে ঘুম থেকে উঠুন।
  • ওযু করে তাহাজ্জুদের নামাজের জন্য দাঁড়ান।
  • দুই রাকাত করে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ুন।
  • প্রতি রাকাতে সুরা ফাতেহা ও অন্য যেকোনো সুরা পড়ুন।
  • দীর্ঘ কেরাতে পড়ার চেষ্টা করুন।
  • নামাজ শেষে দোয়া করুন।

তাহাজ্জুদের নামাজ মুমিন মুসলমানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এ নামাজ পড়ে আল্লাহ তাআলার নৈকট্য অর্জন করা যায় এবং জান্নাতের সুসংবাদ লাভ করা যায়।

এরকম আরও কিছু প্রশ্ন

1 টি উত্তর
1 ডিসেম্বর, 2022 "ফতোয়া" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Abdul_Awal

34,051 টি প্রশ্ন

33,007 টি উত্তর

1,576 টি মন্তব্য

3,211 জন সদস্য

Ask Answers সাইটে আপনাকে সুস্বাগতম! এখানে আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং অন্যদের প্রশ্নে উত্তর প্রদান করতে পারবেন ৷ আর অনলাইনে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য উন্মুক্ত তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার কাজে অবদান রাখতে পারবেন ৷
29 জন অনলাইনে আছেন
0 জন সদস্য, 29 জন অতিথি
আজকে ভিজিট : 41214
গতকাল ভিজিট : 52219
সর্বমোট ভিজিট : 42731698
  1. MuntasirMahmud

    302 পয়েন্ট

    60 টি উত্তর

    2 টি গ্রশ্ন

  2. Limon54

    105 পয়েন্ট

    20 টি উত্তর

    5 টি গ্রশ্ন

  3. Kuddus

    85 পয়েন্ট

    17 টি উত্তর

    0 টি গ্রশ্ন

  4. TeddyAhsan

    71 পয়েন্ট

    4 টি উত্তর

    1 টি গ্রশ্ন

  5. TAKRIMISLAM

    68 পয়েন্ট

    0 টি উত্তর

    18 টি গ্রশ্ন

এখানে প্রকাশিত সকল প্রশ্ন ও উত্তরের দায়ভার কেবল সংশ্লিষ্ট প্রশ্নকর্তা ও উত্তর দানকারীর৷ কোন প্রকার আইনি সমস্যা Ask Answers কর্তৃপক্ষ বহন করবে না৷
আজ বঙ্গাব্দ৷
...