প্রেগন্যান্সি তে ১ম ৩ মাস ও শেষ ৩ মাস ইন্টারকোর্স থেকে বিরত থাকার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়।
প্রশ্ন আসে – ১। কেন এই নিয়ম? ২। একেবারেই কি করা যাবে না?
এই নিয়মের কারণ হল ইন্টারকোর্সে জরায়ু এক্সাইটেড হয়ে অনেক সময় জরায়ুমুখ খুলে যায় তাতে বাচ্চা সময়ের পূর্বে বের হওয়ার ঝুকি থাকে। এরপর বাচ্চার নিউট্রিশন সাপ্লাইয়ার প্লাসেন্টা তথা গর্ভফুল যদি জরায়ুমুখের কাছে থাকে তাহলে তাতে সামান্য আঘাত লেগে ব্লিডিং হতে পারে। তাই ১ম ৩ মাসে এই ধরনের ঘটনা এবরশন করতে পারে আর শেষ ৩ মাসে প্রিম্যাচিউর লেবার। এখন একেবারেই কি এটা নিষিদ্ধ? উত্তর হল, না। দম্পতিরা মিউচুয়াল আন্ডারস্ট্যান্ডিংএ ধীরে ধীরে, সাবধানতা বজায় রেখে করতে পারেন তাহলে পুরো প্রেগন্যান্সিতেই ইন্টারকোর্স সেইফ। কিছু ব্যতিক্রম কেইসে নিষিদ্ধ।
যেমন –
১। প্লাসেন্টা জরায়ুমুখের কাছে হলে যা আল্ট্রাসাউন্ড করে আপনি জেনে নিতে পারবেন।
২। কোন কারণ ছাড়াই আগের স্পন্টেনিয়াস এবরশন বা মিসক্যারেজের ঘটনা থাকলে।
৩। ৫/৬/৭/৮ মাসে লেবার পেইন উঠে বাচ্চা হয়ে যাওয়ার হিস্ট্রি থাকলে
৪। মাসিকের রাস্তা দিয়ে রক্ত গেলে বা স্পটিং হলে (থ্রেটেন্ড এবরশন বলে অর্থাত ঝুঁকিপূর্ণ প্রেগন্যান্সি)
৫। অসময়ে পানি লিক করলে (এমনিওটিক ফ্লুইড) এই কয়েকটি কেইস বাদে বাকি সব ক্ষেত্রে প্রেগন্যান্সিতে ইন্টারকোর্স সেইফ। আর এই ব্যতিক্রমী ঘটনা আপনার আছে কিনা সেটা এই নিয়ে জানা থাকলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন সেইফ কী সেইফ না। কিংবা ডাক্তারও বলে দিতে পারেন। এবং ঝুঁকির সম্ভাবনা থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ মতো চলাটা আবশ্যক।