ব্যাক্তি বিশেষের নামে মসজিদের নামকরণ জায়েজ আছে। যেমন কোনো নবীর নামে মসজিদের নামকরণ করলো বা কোনো সাহাবীর নামে বা কোনো পীর-বুযুর্গ, ওলী-আউলিয়াদের নামে মসজিদের নামকরণ করলো বা নিদেন পক্ষে সাধারণ কোনো ব্যক্তির নামেই মসজিদের নামকরণ করা হোক না কেন, তা জায়েজ আছে। তবে এসব বুজুর্গ বা নবী কিংবা সাহাবীর নামে মসজিদ নির্মাণ করলে মসজিদের আলাদা কোন মর্যাদা বৃদ্ধি পায় না বা সাধারণ কোনো ব্যক্তির নামে মসজিদের নামকরণের কারণে মসজিদের মর্যাদা ক্ষুন্নও হয় না, বরং এতে যার নামে মসজিদের নামকরণ করা হয়েছে, আশা করা যায়, ওই ব্যক্তির আমলনামায় এর সদকায়ে জারিয়াহ্ পৌঁছাতে থাকবে ইংশা আল্লাহ্। স্বাভাবিক মসজিদের যে হুকুম, বুজুর্গ বা ওলী, নবী কিংবা সাহাবীগণের নামের বা সাধারণ কোনো ব্যক্তির নামের মসজিদের মর্যাদা একই।
بَابٌ: هَلْ يُقَالُ مَسْجِدُ بَنِي فُلاَنٍ؟
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَابَقَ بَيْنَ الخَيْلِ الَّتِي أُضْمِرَتْ مِنَ الحَفْيَاءِ، وَأَمَدُهَا ثَنِيَّةُ الوَدَاعِ، وَسَابَقَ بَيْنَ الخَيْلِ الَّتِي لَمْ تُضْمَرْ مِنَ الثَّنِيَّةِ إِلَى مَسْجِدِ بَنِي زُرَيْقٍ (صحيح البخارى، رقم الحديث-৪২০, ৪১০
বিঃ দ্রঃ- সদকায়ে জারিয়াহ্ এর সওয়াব প্রাপ্তির জন্য মসজিদ বা মাদরাসার নাম ব্যক্তির নামে করতেই হবে এমনটা নয়, বরং মসজিদ বা মাদরাসার নির্মাণ কাজে যদি কেউ একটি হালাল পয়সাও আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় দান করে, তবে এর মাধ্যমেও সে সর্বদা সদকায়ে জারিয়াহ্ এর সওয়াব পেতে থাকবে ইংশা আল্লাহ্।