দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রাখা উচিত। কিন্তু এর পাশাপাশি আমাদের এও মনে রাখতে হবে যে, দেশের অনেক আইন এমন আছে যে, যেগুলো শরয়ী আইন তথা ইসলামিক বিধানের সাথে সাংঘর্ষিক। এক্ষেত্রে বুদ্ধিমানের কাজ হলো - প্রকাশ্যে এই আইনের বিরুদ্ধে কিছু না বলে কৌশলে রাষ্ট্রীয় কর্তাব্যক্তিদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে তাদেরকে বুঝিয়ে এগুলোর সংশোধনের চেষ্টা করা। সম্ভব না হলে বিরত থাকা ও দেশের আইনের দোহাই দিয়ে ব্যক্তিজীবনে এগুলো প্রতিষ্ঠা না করা। বরং মনে মনে তা অপছন্দ ও ঘৃণা করা। হাদীসে আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন - যখন তুমি কোনো অন্যায় কাজ হতে দেখো, তখন তুমি সামর্থ্য থাকলে হাত দিয়ে তাতে বাঁধা প্রদান করো অর্থাৎ বন্ধ করে দাও। যদি এই সামর্থ্য না থাকে তবে মৌখিক প্রতিবাদ করে যাও, যদি এই সামর্থ্যও না থাকে তবে অন্তরে তার প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করো। আর এটাই ঈমানের শেষ স্তর। যদি অন্তরে ঘৃণা না থাকে তবে সে ঈমানদারের কোনো স্তরেই পরে না।
বিয়ে শুদ্ধ হওয়ার জন্য ইজাব-কবুলের বাক্যগুলো সাক্ষীদের (কমপক্ষে তিনজন সাক্ষী) সামনে মৌখিকভাবে বলা আবশ্যক। তাই শুধু কাবিননামায় স্বাক্ষরের দ্বারা বিয়ে সম্পন্ন হয় না। (রদ্দুল মুহতার : ৩/১২, ফতোয়ায়ে হক্কানিয়া : ৪/৩১৫)
সুতরাং আপনার উপরোক্ত বর্ণনানুযায়ী কাগজে কলমে বিয়ে রেজিস্ট্রি হয়েছে মাত্র, দেশীয় আইন এটাকে বিয়ে বললেও মূলত ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী এখনও আপনাদের বিবাহ সম্পন্ন হয় নি, অতএব এখনই আপনাদের জন্য সহবাস করা জায়েজ হবে না।