সাধারণভাবে বলতে গেলে, একদল মানুষ যখন অস্তিত্ব রক্ষার উদ্দেশ্যে ও বেঁচে থাকার জন্যে সাধারণ উদ্দেশ্যগুলো চরিতার্থ করতে যখন একে অন্যের উপর নির্ভরশীল হয়ে বেঁচে থাকে, তখনই তা সমাজের রূপ নেয়।
অর্থাৎ, স্বার্থগত কারণে একে ওপরের উপর নির্ভরশীল হয়ে গড়ে ওঠা জনগোষ্ঠীকে সমাজ বলা হয়ে থাকে।
সমাজবিদ্যায় সমাজের সংজ্ঞা অনুযায়ী, সমাজ হল একই ভৌগোলিক অবস্থান, সংস্কৃতির ও কথপোকথনের মানুষের জনসমষ্টি। একটি সমাজে দুই না ততোধিক একই ভাষাভাষী, ও চিন্তাধারার মানুষের থাকা একান্ত আবশ্যক এবং এরা একে ওপরের পরিচিত হওয়া বাঞ্চনীয়। প্রতিটি জনগোষ্ঠীভুক্ত সমাজের মানুষেরা দেশ, ভৌগোলিক দূরত্ব আর ভাষার ব্যবহার অনুযায়ী একটি অন্যটির থেকে আলাদা হয়ে থাকে।
সমাজবিজ্ঞানীদের মতে, সমাজের কোনো ধরা-বাঁধা সংজ্ঞা হয় না। সমাজ বিজ্ঞানী মাকাইভার ও পেজের মতে, সমাজ হল এক বিমূর্ত সত্তা। আমরা জনগোষ্ঠীর সমষ্টিকে চোখে দেখতে পেলেও, সমাজ বা সমাজের গঠনকে চোখে দেখতে পাই না। আমার কেবলমাত্র সমাজের বাহ্যিক দিকগুলোকেই প্রতক্ষ্য করতে পারি।
এছাড়া, সমাজবিজ্ঞানী, ট্যালকট পার্সন্স বলেছেন যে সমাজ একটি এমন এক শব্দ, যা মানুষ ও তার সহকর্মীদের সম্পর্কের জটিলতাকে ব্যাখ্যা করে।