‘নিয়াজীর আত্মসমর্পণ আনন্দের কিন্তু শরীফের কুলখানি বেদনার’ কারণ লেখিকার মনে দুইটি প্রেক্ষাপট দুই ধরনের অনুভূতির সঞ্চার করে। একটি ঘটনা লেখিকাকে দেয় বিজয়ের আনন্দের উচ্ছ্বাস আর একটি জাগায় প্রিয় মানুষকে হারানোর বেদনা। ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনা থেকে জানা যায়, শরীফ ছিলেন লেখিকার স্বামী। তাই বাংলার শত্রু নিয়াজীর আত্মসমর্পণ লেখিকার বিজয়ের উল্লাসকে জাগ্রত করলেও স্বামী হারানোর ব্যথায় লেখিকার সে আনন্দ ম্লান হয়ে যায়। তাঁর মনে সৃষ্ট মিশ্র অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ ঘটাতেই মূলত লেখিকা এ উক্তিটির উদ্ভব করেছেন।