363 বার দেখা হয়েছে
"কুরআন ও হাদিস" বিভাগে করেছেন

2 উত্তর

0 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন
‘সুহবত’ শব্দ থেকেআরবি ‘সাহাবী’ শব্দটি এসেছে। আভিধানিক অর্থ সঙ্গী, সাথী, সহচর, এক সাথে জীবনযাপনকারী অথবা সাহচর্যে অবস্থানকারী। ইসলামী পরিভাষায় ‘সাহাবা’ শব্দটি দ্বারা রাসূল্লাহ (সা:) এর মহান সঙ্গী-সাথীদের বোঝায়। আল্লামা ইবনে হাজার আসকালানি (রহ.) ‘আল- ইসাবা ফী তাময়ীযিস সাহাবা ’গ্রন্থে সাহাবীর পরিচয় দিতে গিয়ে বলেন, ‘সাহাবী সেই ব্যাক্তি যিনি রাসূল্লাহ (সা.) এর প্রতি ঈমানসহকারে তাঁর সাক্ষাত লাভ করেছেন এবং ইসলামের ওপর ইন্তিকাল করেছেন। সাহাবীগণ সত্যে ও ন্যায়ের মাপ কাঠি। একেকজন সাহাবি আকাশের একেকটি তারকার মত। তাঁদের পরস্পরের মধ্যে মর্যাদার হিসেবে স্তরভেদ থাকতে পারে, কিন্তু পরবর্তী যুগের এমন কোন মুসলমানই, তা তিনি যত বড় জ্ঞানী, গুণী ও সাধক হোন না কেন কেউই একজন সাহাবীর সমান মর্যাদা লাভ করতে পারবেন না। এ ব্যাপারে পবিত্র কুরআন, সুন্নাহ এবং ইজমা একমত। স্মরণীয় যে, সাহাবীরাই রাসূল (সা.) ও তাঁর উম্মাতের মধ্যে প্রথম মধ্যসূত্র। পরবর্তী উম্মাত আল্লাহর কালাম পবিত্র কুরআন, কুরআনের ব্যাখ্যা, আল্লাহর রাসূলের পরিচয়, তাঁর শিক্ষা, আদর্শ, মোটকথা দ্বীনের সবকিছুই একমাত্র তাঁদেরই সূত্রে, তাঁদেরই মাধ্যমে জানতে পেরেছেন। সুতরাং এই প্রথম সূত্র উপেক্ষা করলে, বাদ দিলে অথবা তাঁদের প্রতি অবিশ্বাস সৃষ্টি হলে দ্বীন, শরীয়তের মূল ভিত্তিই ধ্বসে পড়ে। কুরআন ও হাদীসের প্রতি অবিশ্বাস দানা বেঁধে ওঠে। কোন কোন সাহাবীর জীবদ্দশায় রাসূল (সা.) তাঁদেরকে জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন। তবে মুসলিম আলেমগণ সাহাবীদের সকলকেই জান্নাতী বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। ইবনে হাজার ‘আলইসাবা’ গ্রন্থে স্পেনের ইমাম ইবনে হাযমের মন্তব্য উদ্ধৃত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আস-সাহাবাতু কুল্লুহুম মিন আহলিল জান্নাতী কাতআন।’ অর্থাৎ, ‘সাহাবীদের সকলেই নিশ্চিতভাবে জান্নাতী।’
0 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন
সাহাবীর জীবদ্দশায় রাসূল (সা.) তাঁদেরকে জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন। তবে মুসলিম আলেমগণ সাহাবীদের সকলকেই জান্নাতী বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। ইবনে হাজার ‘আলইসাবা’ গ্রন্থে স্পেনের ইমাম ইবনে হাযমের মন্তব্য উদ্ধৃত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আস-সাহাবাতু কুল্লুহুম মিন আহলিল জান্নাতী কাতআন।’ অর্থাৎ, ‘সাহাবীদের সকলেই নিশ্চিতভাবে জান্নাতী।’ সাহাবীদের গালি দেয়া বা হেয় প্রতিপন্নকরা কিংবা সমালোচনা করা সম্পূর্ণ হারাম। রাসূল্লাহ (সা:) বলেছেন, ‘আমার পরে তোমরা তাঁদেরকে সমালোচনার লক্ষ্যে পরিণত করো না। তাঁদেরকে যারা ভালোবাসে, আমার মুহাব্বতের খাতিরেই তারা ভালোবাসে, আর যারা তাঁদেরকে হিংসা করে, আমার প্রতি হিংসার কারণেই তারা তা করে।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ)। হযরত ইবনে উমর (রা:) হতে বর্ণিত। রাসূল্লাহ (সা:) বলেছেন, যখন তোমরা ঐ সব লোকদেরকে দেখবে যারা আমার সাহাবীদেরকে গাল-মন্দ করে, তখন তোমরা বলবে, তোমাদের প্রতি আল্লাহ তায়ালার লানত, তোমাদের এ মন্দ আচরণের জন্য। (তিরমিজী)।

সাহাবিদের মর্যাদা ও তাঁদের ফজিলত সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘তারাই মুমিন, যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান আনার পর সন্দেহ পোষণ করে না এবং আল্লাহর পথে জান ও মাল দ্বারা জিহাদ করে। তারাই (সাহাবীগণ) সত্যনিষ্ঠ বা সত্যবাদী।’ (সূরা হুজুরাত, আয়াত : ১৫)। ‘এমন সব লোকই (সাহাবীরা) সত্যিকারের মুমিন (যাঁদের ভেতর ও বাহির এক রকম এবং মুখ ও অন্তর ঐক্যবদ্ধ)। তাদেরজন্য রয়েছে স্বীয় পরওয়ারদিগারের নিকট সুউচ্চ মর্যাদা ও মাগফিরাত এবং সম্মানজনক রিযিক। (সূরা আনফাল, আয়াত : ৪)। সাহাবিদের বৈশিষ্ট বর্ণনা করতে গিয়ে বলা হয়েছে, ‘মুহাম্মাদ (সা:) আল্লহর রাসূল; তাঁর সহচরগণ কাফিরদের উপর কঠোর এবং নিজেদের পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল। আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনায় তুমি তাঁদেরকে রুকু ও সিজদায় অবনত দেখবে। তাঁদের মুখমন্ডলে সিজদার চিহ্ন থাকবে, তাওরাতে তাঁদের অনুরুপ গুনাবলীর বর্ণনা এবং ইনজীলেও রয়েছে তাঁদের অনুরুপ গুনাবলী।’ (সূরা আল ফাতহ, আয়াত : ২৯)। ‘মুহাজির ও আনসারদের মধ্যে যারা প্রথম অগ্রগামী এবং যাঁরা নিষ্ঠার সাথে তাঁদের অনুসরণ করে, আল্লাহ তাদের প্রতি প্রসন্ন এবং তারাও তাতে সন্তুষ্ট এবং তিনি তাদের জন্য প্রস্তুত করেছেন জান্নাত, যার নিম্ন দেশে নদী প্রবাহিত, যেখানে তাঁরা চিরস্থায়ী হবে। এটা মহা কামিয়াবী। (সূরা আত-তাওবা, আয়াত ১০০।) অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘এ সম্পদ অভাবগ্রস্ত মুহাজিরদের জন্য যারা নিজেদের ঘর-বাড়ী ও সম্পত্তি হতে উৎখাত হয়েছে। তারা আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনা করে এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সাহায্য করে। তারাই তো সত্যাশ্রয়ী। মুহাজিরদের আগমনের পূর্বে যারা এই নগরীতে (মাদীনা) বস-বাস করেছে ও ঈমান এনেছে তারা মুহাজিরদের ভালোবাসে এবং মুহাজিরদের যা দেওয়া হয়েছে তার জন্য তাঁরা অন্তরে আকাঙ্খা পোষণ করে না। আর তারা তাঁদেরকে নিজেদের ওপর প্রাধান্য দেয় নিজেরা অভাবগ্রস্ত হলেও। (সূরা আল-হাশর, আয়াত : ৮৯)। আল্লাহ তাঁদের উপর সন্তুষ্ট এবং তাঁরা তাঁর (আল্লাহর) উপর সন্তুষ্ট। এটা তারই জন্য, যে আপন প্রতিপালককে ভয় করে। (সূরা বাইয়্যেনাহ, আয়াত : ৮।)

এরকম আরও কিছু প্রশ্ন

1 টি উত্তর
18 ফেব্রুয়ারি, 2021 "কুরআন ও হাদিস" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন তানহা
0 টি উত্তর
0 টি উত্তর
5 ফেব্রুয়ারি, 2022 "কুরআন ও হাদিস" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন তানহা
1 টি উত্তর
19 ফেব্রুয়ারি, 2021 "কুরআন ও হাদিস" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন তানহা
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর

34,069 টি প্রশ্ন

33,015 টি উত্তর

1,581 টি মন্তব্য

3,223 জন সদস্য

Ask Answers সাইটে আপনাকে সুস্বাগতম! এখানে আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং অন্যদের প্রশ্নে উত্তর প্রদান করতে পারবেন ৷ আর অনলাইনে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য উন্মুক্ত তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার কাজে অবদান রাখতে পারবেন ৷
21 জন অনলাইনে আছেন
0 জন সদস্য, 21 জন অতিথি
আজকে ভিজিট : 17197
গতকাল ভিজিট : 28979
সর্বমোট ভিজিট : 43076042
  1. Towhid-khan

    55 পয়েন্ট

    1 টি উত্তর

    0 টি গ্রশ্ন

  2. Meherima

    50 পয়েন্ট

    0 টি উত্তর

    0 টি গ্রশ্ন

  3. Sorwar201277

    50 পয়েন্ট

    0 টি উত্তর

    0 টি গ্রশ্ন

  4. Farhana

    50 পয়েন্ট

    0 টি উত্তর

    0 টি গ্রশ্ন

  5. Rifa_Moni

    50 পয়েন্ট

    0 টি উত্তর

    0 টি গ্রশ্ন

এখানে প্রকাশিত সকল প্রশ্ন ও উত্তরের দায়ভার কেবল সংশ্লিষ্ট প্রশ্নকর্তা ও উত্তর দানকারীর৷ কোন প্রকার আইনি সমস্যা Ask Answers কর্তৃপক্ষ বহন করবে না৷
আজ বঙ্গাব্দ৷
...